দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতীশী। — ফাইল চিত্র।
অরবিন্দ কেজরীওয়ালের পর এ বার দিল্লির শিক্ষা, সংস্কৃতি, পর্যটন মন্ত্রী অতীশী মারলেনার বাড়িতে দিল্লি পুলিশ। গত সপ্তাহে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, টাকা দিয়ে আপ বিধায়কদের ‘কেনা’-র চেষ্টা করছে বিজপি। সেই প্রেক্ষিতেই অতীশীকে নোটিস ধরাতে চায় দিল্লি পুলিশ। রবিবার সকালে যে সময় দিল্লি পুলিশ নেত্রীর বাড়িতে গিয়েছিল, সে সময় তিনি ছিলেন না। তখন বাড়িতে তাঁর দফতরের আধিকারিকেরা ছিলেন। আপ সূত্রের খবর, তাঁদের ওই নোটিস গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী।
দিল্লি পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা পিটিআইকে জানিয়েছেন, অতীশীকে আবার নোটিস দিতে যাবে দিল্লি পুলিশ। সকালে তিনি বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না। বিজেপির বিরুদ্ধে এই একই অভিযোগ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালও। সেই নিয়ে নোটিস ধরাতে তাঁর বাড়িতে শনিবার গিয়েছিল দিল্লি পুলিশের একটি দল। শুক্রবারও কেজরীওয়াল এবং অতীশীর বাড়িতে গিয়েছিল দিল্লি পুলিশ।
গত সপ্তাহে এক্স (সাবেক টুইটরা)-এ একটি পোস্ট করে আপ প্রধান কেজরীওয়াল অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর দলের সাত জন বিধায়ককে ২৫ কোটি টাকা করে দিতে চেয়েছে বিজেপি। দিল্লিতে আপকে ক্ষমতা থেকে সরাতেই এই উদ্যোগ। পরে সাংবাদিক বৈঠক করে অতীশী অভিযোগ করেন, দিল্লিতে বিজেপি ‘অপারেশন লোটাস ২.০’ শুরু করতে চায়। অতীশী তখন জানিয়েছিলেন, গত বছরও বিজেপি আপ বিধায়কদের টাকা দিয়ে ‘কিনতে’ চেয়েছিল। কিন্তু পারেনি।
কেজরীওয়ালের অভিযোগের পর গত ৩০ জানুয়ারি দিল্লির পুলিশ প্রধান সঞ্জয় অরোরার সঙ্গে দেখা করে বিজেপির একটি দল। নেতৃত্বে ছিলেন দিল্লি বিজেপি প্রধান বীরেন্দ্র সচদেব। তাঁরা কেজরীর অভিযোগ নিয়ে তদন্তের দাবি করেন। বীরেন্দ্র জানান, কেজরী ‘মিথ্যা অভিযোগ’ করছেন। এ বিষয়ে সত্য প্রকাশিত হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘‘কেজরীওয়াল মিথ্যা বলে পার পেতে পারেন না। তাঁকে তদন্তের মুখোমুখি হতেই হবে।’’ তার পরেই কেজরীওয়াল এবং অতীশীকে নোটিস ধরাতে গেল দিল্লি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy