২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া কংগ্রেস। প্রতীকী ছবি।
যত নাটক কর্নাটকে! ভোটের মুখে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের মাথাচাড়া দিয়েছে ওই দক্ষিণী রাজ্যে। চিড় ধরেছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার পরিবারে। আর বিজেপি এখনও প্রার্থীতালিকাই চূড়ান্ত করতে পারেনি।
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া কংগ্রেস কর্নাটকের বিধানসভা ভোটে জিততে চায় অবশ্যই। কিন্তু জিতলে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া ও প্রদেশ সভাপতি ডি কে শিবকুমারের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার কংগ্রেসের দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা নিয়ে বৈঠক ছিল। তার আগে সিদ্দারামাইয়া বলে দিয়েছেন, তিনি ফের মুখ্যমন্ত্রী হতে ইচ্ছুক। একই ইচ্ছা শিবকুমারেরও। কংগ্রেস হাই কমান্ড বিধায়কদের কথা না শুনে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করে দেবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
এ দিন রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের প্রার্থী-বাছাই বৈঠকে বলেন, এই দ্বন্দ্ব মেটাতে হবে। ২২৪ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ১২৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। রাহুলের নির্দেশ, বাকি সব আসনের প্রার্থীর নাম একবারে ঘোষণা করে দিতে হবে। চাপের মুখে বৈঠকের পরে সিদ্ধারামাইয়া ও শিবকুমার দু’জনেই একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন।
দেবগৌড়ার পরিবারে তাঁর দুই ছেলে ও তাঁদের স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। দেবগৌড়ার ছোট ছেলে, জেডিএস বিধায়ক রেভন্না এ বার তাঁর স্ত্রী ভবানীকে প্রার্থী করতে চান। কুমারস্বামী বলছেন, রেভন্নার স্ত্রী প্রার্থী হলে তাঁর স্ত্রী অনিতাও প্রার্থী হবেন। কুমারস্বামীর ছেলে নিখিলকে ইতিমধ্যেই প্রার্থী করা হয়েছে। কিন্তু কুমারস্বামীর দাবি, ভাইয়ের এক ছেলে সাংসদ, অন্য ছেলে বিধান পারিষদ। টিকিটপ্রাপ্তি নিয়ে এই পারিবারিক ফাটলের সুযোগ নেওয়ার অপেক্ষায় কংগ্রেস।
কংগ্রেস, জেডিএস এক দফা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিলেও, বিজেপি এখনও প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করতে পারেনি। সভাপতি জে পি নড্ডা আজ সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে ১০ মে-র ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। অনেকের মতে, বিজেপি আগে কংগ্রেসের প্রার্থীতালিকা দেখে নিতে চাইছে। কর্নাটকে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ ও দুর্নীতির অভিযোগ থেকে নজর সরাতে নড্ডা বলেছেন, ভোটে রাহুলের বিরুদ্ধে ওবিসি-দের অপমান করার অভিযোগ তুলতে হবে। বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস ৬ এপ্রিল থেকে এ নিয়ে দেশ জুড়ে বিজেপি প্রচার শুরু করবে। বিজেপি সূত্রের খবর, খোদ নরেন্দ্র মোদীই সে দিন ওই প্রচারের সুর বেঁধে দেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy