রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন মিটলেই ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মান ভাঙানোর চেষ্টা শুরু করবে কংগ্রেস।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলঙ্গানার মতো রাজ্যে যেখানেই কংগ্রেস জিতবে, সেখানে এই জয়কে ‘বিজেপি বিরোধী শক্তির জয়’ হিসেবে তুলে ধরা হবে। এই সব রাজ্যের মধ্যে যেখানেই কংগ্রেসের সরকার গঠন হবে, সেখানেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র সমস্ত দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। পাঁচ রাজ্যে ভোটের পরেই সকলের সুবিধা মাফিক ইন্ডিয়া-র পরবর্তী বৈঠক ডাকা হবে। সেখানে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি ও আসন বণ্টনের ‘ফর্মুলা’ নিয়ে আলোচনা হবে। কংগ্রেস নেতারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, কর্নাটকে বিজেপিকে সরিয়ে কংগ্রেসের ক্ষমতা দখলের পরেও মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সিদ্দারামাইয়া এবং ডি কে শিবকুমারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সমস্ত বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
গত আড়াই থেকে তিন মাস ধরে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র চাকা কার্যত থমকে রয়েছে। কারণ কংগ্রেস এখন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনকেই অগ্রাধিকার দিয়ে পুরো সময় ও শক্তি সেখানে ব্যয় করছে। ফলে লোকসভা নির্বাচনের জন্য আসন সমঝোতার কাজ এগোয়নি। এ নিয়ে নীতীশ কুমার প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টিকে আসন ছাড়তে না চাওয়ায় অখিলেশ যাদব কংগ্রেসকে একাধিক বার কটাক্ষ করেছেন। একাধিক বিরোধী নেতানেত্রী মনে করছেন, আসন সমঝোতা নিয়ে ইন্ডিয়া জোটে ‘দাদাগিরি’ করতে সুবিধা হবে বলে কংগ্রেস পাঁচ রাজ্যে ভাল ফলের অপেক্ষা করছে।
এই প্রেক্ষিতে কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের মধ্যে মিজোরামে কংগ্রেসের বিশেষ আশা নেই। তবে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেসের জয় প্রায় নিশ্চিত। রাজস্থানে পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলের নিয়মে এ বার বিজেপির জেতার কথা হলেও ক্ষমতাসীন কংগ্রেস লড়াইয়ে রয়েছে। তেলঙ্গানাতেও কংগ্রেস খুবই ভাল ফল করবে। সব মিলিয়ে কংগ্রেসের এই সাফল্যে ইন্ডিয়া জোটই শক্তিশালী হবে। বিজেপি বিরোধী শিবিরের মনোবল বাড়বে। কংগ্রেসের ‘টিম মল্লিকার্জুন খড়্গে’-র এক নেতা বলেন, ‘‘বিরোধী ঐক্য চায় কংগ্রেস। চার রাজ্যে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। শুধু ৩০ নভেম্বর তেলঙ্গানায় ভোটগ্রহণ বাকি। ৩ ডিসেম্বর ফল প্রকাশ। তার পরেই কংগ্রেস সভাপতি খড়্গে সব দলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রয়োজনে রাহুল গান্ধীও কিছু নেতানেত্রীর সঙ্গে
কথা বলবেন।”
অগস্টের শেষে মুম্বইয়ে বৈঠকের পরে আর কোনও বৈঠক হয়নি ইন্ডিয়া-র। মধ্যপ্রদেশে ইন্ডিয়া-র জনসভা, নাগপুরে ইন্ডিয়া-র বৈঠক বা সভা নিয়ে কথা হয়েছিল। কিন্তু তার কোনওটাই হয়নি। শুধু সমাজবাদী পার্টি নয়, আম আদমি পার্টি বা সিপিএম, সিপিআইয়ের মতো দলকেও মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানার মতো রাজ্যে আসন ছাড়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেস কোনও নরম মনোভাব দেখায়নি। ফলে অনেক আসনেই ইন্ডিয়া-র
শরিক দলগুলি একই সঙ্গে লড়ছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের যুক্তি, ইন্ডিয়া-র দলগুলির মধ্যে বিধানসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। শুধু লোকসভা নির্বাচনের জন্যই যত দূর সম্ভব আসন সমঝোতার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এ নিয়ে ইন্ডিয়া-র শরিক দলগুলির অভিমান অযৌক্তিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy