কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটির ক্ষমতা নেই আদানি কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার। তা করতে পারে একমাত্র যৌথ সংসদীয় কমিটিই। তাই এই দাবি নিয়ে ‘দর কষাকষির’ কোনও প্রশ্নই নেই। আজ সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে বললেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। সেই সঙ্গে ‘হাম আদানি কে হ্যায় কৌন’ সিরিজের ১০০তম প্রশ্নটি ছুড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল কী ভাবে বেছে বেছে বিরোধীদের নিশানা করছে এবং গৌতম আদানির সংস্থার জন্য কোথায় কোথায় নিয়ম বদলেছে মোদী সরকার, কংগ্রেস আজ তা-ও বিশদে তুলে ধরেছে।
জয়রামের কথায়, “আমরা আদানিকে নয়, প্রশ্ন করছি মোদীকে। এটা সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি করতে পারবে না। ওই কমিটি তো সরকারকে ক্লিনচিট দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে। এই মহা দুর্নীতি শুধুমাত্র শেয়ার বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত নয়, মোদী সরকারের নীতি এবং উদ্দেশ্য এর সঙ্গে জড়িত। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী নীরবতা ভঙ্গ করুন। কিন্তু তা না করে বিরোধীদের কণ্ঠ রুদ্ধ করছে কেন্দ্র।”
আজকের তোলা শততম প্রশ্নে বিভিন্ন সময়ে এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের চুক্তির কথা তুলে ধরে দাবি করা হয়েছে, মোদী সরকার কী ভাবে সর্বত্র আদানিকেই বরাত দিয়ে গিয়েছে। প্রয়োজনে নিয়ম ভেঙে সুবিধা করে দিয়েছে। আদানির লাভ হবে দেখে সরকার তার নীতি বদল করেছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রকল্পে অগ্রসর হতে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন কংগ্রেস নেতা। ওই প্রকল্প আদানিরই। কংগ্রেসের দাবি, সাধারণ ভাবে রাজ্য থেকে বাইরের দেশে বিদ্যুৎ রফতানি করা হলে ২৫ শতাংশ ভর্তুকিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে হয়। কিন্তু আদানির জন্য নিয়ম বদলে রাজ্যকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
গত কাল সরকার পক্ষের প্রস্তাব ছিল, কংগ্রেস জেপিসি-র দাবি থেকে সরে যাক, বিজেপিও সে ক্ষেত্রে রাহুল গান্ধীর কাছ থেকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি প্রত্যাহার করে নেবে। আজ জয়রাম বলেন, ‘‘এই দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক নেই। ওরা রাহুল গান্ধীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলছে ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগে।’’ তাঁর দাবি, রাহুলকে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে আদানি কাণ্ড থেকে নজর ঘোরাতে। লোকসভায় রাজনাথ সিংহ যে বলেছেন, রাহুল বিদেশি শক্তিকে আহ্বান করেছেন ভারতের গণতন্ত্র বাঁচাতে, তারও প্রতিবাদ করেছে কংগ্রেস। স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে কংগ্রেস সাংসদ মাণিকম টেগোর দাবি করেন, কোথা থেকে এই তথ্য পেলেন রাজনাথ? রাজনাথের বক্তব্য, সংসদের বিধিভঙ্গ করেছেন, ফলে পদক্ষেপ করা হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy