ওমপ্রকাশ চৌটালা। ফাইল চিত্র।
নীতীশ কুমার, অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব থেকে শুরু করে বিরোধী শিবিরের প্রায় সব দলের প্রতিনিধি ওমপ্রকাশ চৌটালার ডাকা জনসভায় অংশ নিলেও কংগ্রেসের সেখানে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। ২৫ সেপ্টেম্বর হরিয়ানায় ওই সমাবেশ হবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, হরিয়ানায় চৌটালার আইএনএলডি-র সঙ্গে কংগ্রেসের সাপে-নেউলে সম্পর্ক। হরিয়ানায় কংগ্রেসের প্রধান নেতা ভূপিন্দর সিংহ হুডা এবং আইএনএলডি-র চৌটালার লড়াই জাঠ ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে। ফলে কংগ্রেসের কেউই সেখানে যান, তা হুডা চাইছেন না।
১৯৮৯-এ অ-কংগ্রেসি সরকার গঠনে হরিয়ানার জনতা দলের নেতা দেবী লাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। ২৫ সেপ্টেম্বর দেবী লালের জন্মদিনে তাঁর পুত্র ওমপ্রকাশ হরিয়ানার ফতেহাবাদে জনসভার ডাক দিয়েছেন। তাতে তিনি সমস্ত বিরোধীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। চৌটালা একে নতুন করে ‘তৃতীয় ফ্রন্টের সূত্রপাত’ বলেও তুলে ধরছেন। আইএনএলডি-র তরফে বলা হচ্ছে, কংগ্রেসও সেখানে যোগ দিতে পারে। কিন্তু কংগ্রেসের হাতে বিরোধী শিবিরের নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার বদলে তিনি যে আঞ্চলিক দলের নেতৃত্বের পক্ষে, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়ে চৌটালা বলেছেন, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তৃতীয় ফ্রন্ট সরকারে বিজেপি যোগ দিয়েছিল। কংগ্রেসও সে রকম বিজেপির বিরুদ্ধে তৃতীয় ফ্রন্টে যোগ দিতে পারে।
ইতিমধ্যে হরিয়ানায় কংগ্রেসের ঘরোয়া লড়াই চরমে উঠেছে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হুডার বিরুদ্ধে রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা, কুমারী শৈলজা, কিরণ চৌধুরীরা সাংগঠনিক নির্বাচনের ভারপ্রাপ্ত নেতা মধুসূদন মিস্ত্রির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, হুডা নিজের বাছাই করা নেতাদের প্রদেশ কংগ্রেসের প্রতিনিধি করে এনেছেন। তিনি নিজে বিরোধী দলনেতা হয়েছেন এবং তাঁর অনুগামী উদয় ভানকে প্রদেশ সভাপতি করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy