Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Ladakh

লাদাখ নিয়ে সরব কংগ্রেস

লাদাখে চিনের অনুপ্রবেশের পরে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে দাবি করেছিলেন, কেউ ভারতের জমিতে ঢোকেনি, কেউ ঢুকে বসেও নেই। পরে কেন্দ্রীয় সরকার সেই বক্তব্য থেকে সরে আসে।

এসসিও-র বৈঠকে লাদাখ নিয়ে নীরব রইলেন নরেন্দ্র মোদী।

এসসিও-র বৈঠকে লাদাখ নিয়ে নীরব রইলেন নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:১৮
Share: Save:

লাদাখে চিনা সেনার অনুপ্রবেশের পরে এই প্রথম চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে একই মঞ্চে বসেও কেন মোদী লাদাখ নিয়ে নীরব রইলেন, সেই প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। আজ সমরখন্দে এসসিও-র বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতার পরে লোকসভায় কংগ্রেসের উপ-দলনেতা গৌরব গগৈ বলেন, চিনের জমি দখলের চেষ্টা নিয়ে নীরব থাকাটা আত্মসমর্পণের সমান। গগৈ বলেন, “লাদাখে চিনের সেনা ভারতের জমির একাংশ কেড়ে নিতে চেয়েছে। তার পরে প্রথম শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসলেন। সেখানে প্রারম্ভিক বক্তৃতায় এ নিয়ে নীরব থাকাটা আত্মসমর্পণের সমান। উনি ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে বলেছেন। কিন্তু চিনের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন।”

লাদাখে চিনের অনুপ্রবেশের পরে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে দাবি করেছিলেন, কেউ ভারতের জমিতে ঢোকেনি, কেউ ঢুকে বসেও নেই। পরে কেন্দ্রীয় সরকার সেই বক্তব্য থেকে সরে আসে। না-হলে চিনের অবস্থানকেই সমর্থন করা হচ্ছিল। কিন্তু তার পরে সীমান্তে জমি দখল নিয়ে মোদী কোনও দিনই চিনের নাম করে মুখ খোলেননি। সম্প্রতি লাদাখের একাংশে ভারত-চিনের সেনা মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরে এলেও অন্যত্র চিনের সেনা এত দিন ভারতের দখলে থাকা জমিতে বসে রয়েছে। উল্টে ভারতীয় সেনা নিজের আগের অবস্থান ছেড়ে পিছিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ। আজ গগৈ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হল ভারতের ভৌগোলিক অখণ্ডতা, দেশের জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষা করা। প্রধানমন্ত্রী মোদী এসসিও বৈঠকে সব দিক থেকেই ব্যর্থ।’’ আজ এসসিও বৈঠকের আগে রাষ্ট্রনেতাদের ছবি তোলার সময়ে প্রধানমন্ত্রী এক প্রান্তে ছিলেন। অন্য প্রান্তে ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তা নিয়েও বিদেশ মন্ত্রককে বিঁধেছেন কংগ্রেসের গৌরব গগৈ। তাঁর মতে, কে কোথায় দাঁড়াবেন, তা আগেই ঠিক হয়ে যায়। সেখানেও বিদেশ মন্ত্রক ভারতের গুরুত্ব তুলে ধরতে পারেনি। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে প্রান্তে দাঁড়াতে হয়েছে। বিজেপির পাল্টা জবাব, প্রধানমন্ত্রী বিদেশে গেলে বিদেশ নীতির প্রশ্নে বিরোধীরা তাঁর সঙ্গে থাকে। কংগ্রেস সেই সৌজন্য মানছে না। বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, “কংগ্রেস ও পাকিস্তানের চিন্তাভাবনায় অনেক মিল দেখা যাচ্ছে। কংগ্রেস ও পাকিস্তানের মধ্যে কী সমঝোতা হয়েছে, তা প্রকাশ করা হোক।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy