বিনেশ ফোগাটের সঙ্গে কংগ্রেস নেতা দিপেন্দর সিংহ। ছবি পিটিআই।
ভোটের ময়দানে যে এ বার তাঁকে দেখা যেতে পারে, সেই জল্পনা চলছিল। শুক্রবার কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর সেই জল্পনা আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। রাতে সেই জল্পনা সত্যি হল হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থিতালিকা প্রকাশের পর। শুক্রবার ৩১ জনের একটি প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করে হাতশিবির। সেই তালিকাতেই রয়েছেন কুস্তিগির বিনেশ ফোগাট। কংগ্রেস তাঁকে হরিয়ানার জুলানা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে।
শুক্রবার সকালে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের বাসভবনে গিয়ে হাত শিবিরে যোগ দেন বিনেশ। তার পর সেখান থেকে যান কংগ্রেসের সদর দফতরে। সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে শুক্রবার সরকারি চাকরিতে ইস্তফা দেন বিনেশ। সমাজমাধ্যমে ইস্তফার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিনেশ বলেছেন, ‘‘ভারতীয় রেলের কর্মী হিসাবে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। রেলের সঙ্গে অনেক সুখস্মৃতি রয়েছে আমার। তবু জীবনের এই পর্বে এসে রেলের সঙ্গ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভারতীয় রেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমার ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। রেলওয়ে পরিবারের কাছে সব সময় কৃতজ্ঞ থাকব, দেশের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।’’
কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করেন বিনেশ। তিনি বলেন, ‘‘আমি একটা নতুন কিছু শুরু করতে চেয়েছিলাম। সেই সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। আমি চাই না আমাদের যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে তা অন্যদের হতে হোক।’’
উল্লেখ্য, গত প্যারিস অলিম্পিক্সে মহিলাদের ৫০ কেজি কুস্তির ফাইনালে ওঠার পর প্রতিযোগিতা থেকে বাতিল হয়ে যান বিনেশ। তার পর কুস্তি থেকে অবসর ঘোষণা করেন। সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন বিনেশ। শুধু বিনেশ একা নন, শুক্রবার কংগ্রেসে যোগ দেন আরও কুস্তিগির বজরং পুনিয়া। গত বুধবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন বিনেশ এবং বজরং। রাহুলের সঙ্গে বৈঠকের পরই তাঁদের কংগ্রেসে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যায়। বিনেশ ভোটের টিকিট পেলেও বজরং কোন আসন থেকে লড়বেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy