Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Mallikarjun Kharge-Nitish Kumar

খড়্গের ফোনই ধরলেন না নীতীশ, বিজেপির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন সোমবার? ‘খবর’ তেমনই

বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে ফোন করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। কিন্তু নীতীশের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

Congress president Mallikarjun Kharge tried to talk to Nitish Kumar, but he was busy.

(বাঁ দিকে) মল্লিকার্জুন খড়্গে। নীতীশ কুমার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:০৫
Share: Save:

বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে ফোন করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। কিন্তু নীতীশের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জোট বদলের জল্পনার মধ্যেই শনিবার এই দাবি করলেন কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ। তিনি বলেন, ‘‘আমি আনুষ্ঠানিক ভাবে বলতে পারি যে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে এক বার নয়, একাধিক বার কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। তবে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত থাকায় তা সম্ভব হয়নি।’’

এরই মধ্যে জাতীয় রাজনীতিতে জল্পনা, জোট বদলে আবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন নীতীশ কুমার? গত এক দশকে এই নিয়ে চতুর্থ বার! সোমবার নীতীশের পাশাপাশি বিহারের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বিজেপি নেতা সুশীল মোদী। বিহার রাজনীতিতে যিনি, ‘নীতীশ ঘনিষ্ঠ’ হিসাবেই পরিচিত। শনিবার রাতে জেডিইউ বিধায়কদের বৈঠকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে।

এরই মধ্যে জল্পনা, বিহারের ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকার বাঁচানোর জন্য দিল্লিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ‘সক্রিয়’ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ‘হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা’ (হাম)-র নেতা জিতনরাম মাঝিঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন শনিবার। প্রসঙ্গত, আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ শুক্রবার জিতনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বলে আরজেডি সূত্রের খবর। হাম-এর চার বিধায়কের সমর্থনের বিনিময়ে জিতনের ছেলে সন্তোষ কুমার সুমনকে উপমুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রস্তাব দেন লালু। ‘ইন্ডিয়া’র এই প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হলে বিহার বিধানসভায় বিজেপি-জেডিইউ জোটকে বাদ দিয়েই সরকার গড়ার কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে ‘মহাগঠবন্ধন’।

২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২ বিধায়কের সমর্থন। আরজেডির রয়েছে ৭৯ জন বিধায়ক। এ ছাড়া, কংগ্রেসের ১৯, সিপিআইএমএল লিবারেশনের ১২, সিপিএমের ২, সিপিআইয়ের ২ এবং ১ নির্দল বিধায়ক রয়েছেন বিজেপি বিরোধী মহাজোটে। অর্থাৎ, ১১৫ বিধায়কের সমর্থন পেতে পারেন লালুরা। এ ছাড়া হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েসির ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর এক জন বিধায়কও প্রয়োজনে ‘মহাগঠবন্ধন’কে সমর্থন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে জিতনের চার বিধায়ককে পাশে পেলে ১২০-তে পৌঁছে যাবে বিজেপি বিরোধী জোট। লালুদের প্রয়োজন হবে আর মাত্র দুই বিধায়কের সমর্থন। অন্য দিকে, দ্বিতীয় বৃহত্তম দল বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৮। নীতীশের ৪৫। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ব্যবধান এক সুতোর, ১২৩। সেখানেই ভরসা দেখছেন লালু-রাহুলেরা?

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy