সিদ্দারামাইয়া নাকি শিবকুমার, কর্নাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার হয়তো জল্পনার অবসান ঘটতে পারে। সিদ্দারামাইয়া নাকি শিবকুমার, নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কে শপথগ্রহণ করবেন, তা নিয়ে সন্ধ্যার মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে কংগ্রেস হাইকমান্ড। দলের একটি সূত্রের খবর, ২০ মে অর্থাৎ আগামী শনিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারবেন সিদ্দারামাইয়া। উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে বসতে পারেন শিবকুমার।
যদিও দলেরই অন্য একটি সূত্রের খবর, কর্নাটকের অধিকাংশ কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চাইলেও শিবকুমার হাইকমান্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। শুধু উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে থাকতে তিনি রাজি নন। পাঁচ বছরের সরকারের মেয়াদকাল যদি দু’ভাগে ভেঙে আড়াই বছর করে দু’জনকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়, তা হলে তিনি প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী হবেন। সরকার গঠন হওয়ার পর সিদ্দারামাইয়া মুখ্যমন্ত্রী হবেন, কিন্তু তিনি ২০২৫ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকবেন, তা মানতে রাজি ছিলেন না শিবকুমার। যদি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা না হয়, তবে তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী পদেও বসতে রাজি নন বলে দাবি করেছিলেন শিবকুমার। সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রদেশ সভাপতি এবং বিধায়ক পদে থাকবেন বলেও জানান তিনি।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, কর্নাটকের রাজনীতির জট কাটাতে বুধবার খড়্গে আলাদা আলাদা ভাবে সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমারের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রথমে শিবকুমারের সঙ্গে বৈঠক হয়। পঞ্চাশ মিনিট শিবকুমারের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্দরামাইয়ার সঙ্গেও বৈঠক করেন খড়্গে। খড়্গে একাই নন, রাহুল গান্ধীও বুধবার দশ জনপথে সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমারের সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠক করেছিলেন।
কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের আশঙ্কা ছিল, সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করা না হলে তিনি বিদ্রোহ করতে পারেন। এমনকি তিনি জেডিএস, বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়ে ফেলতে পারেন, এমন আশঙ্কাও করেছিলেন কংগ্রেস দলের একাংশ। সর্বোপরি সিদ্দারামাইয়া ওবিসি নেতা। লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওবিসি পরিচয়ের মোকাবিলায় কর্নাটকে সিদ্দারামাইয়াকে প্রয়োজন।
সমাধান খুঁজতে রাহুল এবং সনিয়ার সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে আলোচনাও করেছিলেন খড়্গে। এরই মধ্যে বেঙ্গালুরুর শ্রীকান্তিরাভা স্টেডিয়ামে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছে। নিমন্ত্রণপত্রের খসড়াও তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আটকেছিল চূড়ান্ত প্রস্তুতি। শেষ পর্যন্ত বুধবার শেষ সন্ধ্যায় খুলেছে কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট হবে বৃহস্পতিবার বেলা গড়ালেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy