ছবি: পিটিআই
নরেন্দ্র মোদীর নামে স্টেডিয়াম নিয়ে আক্রমণ হবেই। তার থেকেও মোতেরার ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে সর্দার বল্লভভাই পটেলের নাম মুছে দেওয়াকে কংগ্রেস গুজরাতের পঞ্চায়েত ভোটে হাতিয়ার করতে চাইছে। চলতি সপ্তাহে গুজরাতের ছ’টি বড় শহরের পুরসভার ভোটে বিজেপি বিপুল ভোটে জিতেছে। কিন্তু ২৮ ফেব্রুয়ারি গুজরাতের ৮১টি ছোট শহরের পুরসভা, ৩১টি জেলা পঞ্চায়েত ও ২৩১টি তালুক পঞ্চায়েতের ভোট। স্টেডিয়াম থেকে সর্দার পটেলের নাম মুছে মোদী নিজের নাম রেখেছেন বলে কংগ্রেস স্থানীয় গুজরাতি আবেগ উস্কে দিতে চাইছে।
বুধবারই মোতেরায় ক্রিকেট স্টেডিয়াম উদ্বোধনের সময়ে সবাইকে চমকে দিয়ে দেখা যায়, স্টেডিয়ামের নাম নরেন্দ্র মোদীর নামে রাখা হয়েছে। এই স্টেডিয়ামের নাম এত দিন ছিল সর্দার পটেল স্টেডিয়াম। বিরোধীদের তোপের মুখে গুজরাতের উপমুখ্যমন্ত্রী নীতিন পটেলের যুক্তি, কোনও দিনই এই স্টেডিয়ামের নাম সর্দার পটেলের নামে ছিল না। স্টেডিয়ামটি গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বলে তাঁর যুক্তি, এটি মোতেরা স্টেডিয়াম বলে পরিচিত ছিল। গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি থাকাকালীন মোদী সেই পুরনো স্টেডিয়াম ভেঙে নতুন স্টেডিয়ামের পরিকল্পনা করেন। স্টেডিয়ামটি যে বৃহত্তর কমপ্লেক্সের অংশ, তার নাম সর্দার পটেলের নামেই রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু-সহ বিজেপির নেতামন্ত্রীরা আজ ফের যুক্তি দেন, বহু স্টেডিয়াম, বিমানবন্দরের নাম গাঁধী পরিবারের নামে। তাতে কি দোষ হয়নি? কংগ্রেস ছাড়া অন্য বিরোধীদের প্রশ্ন, বিজেপিও একই ভুল করবে? তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ক্রীড়া মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, স্পোর্টস অথরিটি-র নতুন পরিকাঠামো ক্রীড়াবিদদের নামে হবে।
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের দুই প্রান্তের প্যাভিলিয়ন আদানি ও রিলায়্যান্সের নামে হওয়াতেও বিরোধীরা অস্ত্র পেয়েছেন। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির কটাক্ষ, ‘ইয়ে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম হ্যায়, ইয়ে ইসকে দো এন্ডস হ্যায়, অউর ইয়ে ক্রোনিজ কি পাওরি হো রহি হ্যায়।’ যোগগুরু রামদেব অবশ্য বলেন,“সব বিমানবন্দর, সংস্থা বাছাই করা পরিবারের নামে। নরেন্দ্র মোদী রাষ্ট্রপুরুষ। তাঁর নামে স্টেডিয়াম করা নিয়ে অকারণ রাজনীতি হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy