বিধানসভা ভোটে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও তেলঙ্গানায় এখনও মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করতে পারল না কংগ্রেস। সোমবার এআইসিসির তরফে বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং মতামত নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে।
১১৯ আসনের তেলঙ্গানা বিধানসভায় এ বার ৬৪টিতে জিতেছে কংগ্রেস। সহযোগী সিপিআইয়ের ঝুলিতে গিয়েছে একটি। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)-এর দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি ৩৯টি কেন্দ্রে জিতেছে। বিজেপি ৮টি এবং হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম) সাতটি আসনে জিতেছে।
আরও পড়ুন:
সোমবার হায়দরাবাদের একটি হোটেলে ডিকের উপস্থিতিতে নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠকে পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচনের দায়িত্ব কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে দেওয়ার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রেবন্ত রেড্ডি এগিয়ে রয়েছে বলে দলের একটি সূত্রের খবর। বিধানসভা ভোটে কোডনগল আসনে জিতেছেন মালকাজগিরির সাংসদ রেবন্ত। তবে কামারেড্ডি কেন্দ্রে তৃতীয় স্থান পেয়েছেন তিনি। সেখানে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। দ্বিতীয় বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর।
আরও পড়ুন:
রেবন্ত ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি উত্তমকুমার রেড্ডি এবং বিদায়ী বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা প্রভাবশালী দলিত নেতা ভাট্টি বিক্রমাঙ্ক মাল্লুর নাম নিয়ে জল্পনা রয়েছে। এ বারের বিধানসভা ভোটে নলগোন্ডার সাংসদ উত্তম তাঁর পুরনো আসন হুজুরনগর থেকে জিতেছেন। বিক্রমাঙ্ক জিতেছেন মাধিরা কেন্দ্রে। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে জল্পনায় রয়েছে প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা মুন্নুগোড়ে কেন্দ্রের সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক কে রাজাগোপাল রেড্ডির নামও।