আস্থা ভোটের আগে কংগ্রেসের পদক্ষেপে খানিক স্বস্তিতে এন বীরেন সিংহ তথা বিজেপির জোট সরকার। এ দিন মণিপুর প্রদেশ কংগ্রেস দলত্যাগী বিধায়ক টি শ্যামকুমারকে ছ'বছরের জন্য বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করে। ফলে এখন নির্দল বিধায়ক হিসেবে থাকতে পারবেন তিনি। তাঁকে পদত্যাগ করতে হচ্ছে না। অবশ্য মন্ত্রিসভার দফতর বিতরণ ও মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ নিয়ে এখনও শরিকদের মধ্যে মতানৈক্য চলছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। একে তো শরিকদের তুষ্ট করতে নিজেদের সরকারে বিজেপি নিজেই সংখ্যালঘু। মুখ্যমন্ত্রী-সহ মাত্র দু'জন বিজেপি বিধায়ক মন্ত্রী হতে পেরেছেন প্রথম দফায়। পছন্দমতো দফতর চেয়ে এনপিপি এখনও বিজেপিকে চাপে রেখেছে। সম্ভবত আস্থা ভোটের আগে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ হবে না।
এ দিকে, রাহুল গাঁধী যখন টাকার জোরে বিধায়ক কেনাবেচা করে বিজেপির সরকার দখলের সমালোচনায় মুখর, তখনই বিজেপির সমালোচনা করতে গিয়ে নিজের পায়ে কুড়ুল মারলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে সমালোচনা করতে গিয়ে কথার তোড়ে বলেই বসলেন, ২০১০ সালে রাজ্যসভার ভোটে তাঁর নির্দেশেই হিমন্ত বিজেপির চার বিধায়ককে কিনেছিলেন। সে বছর ২৬ মার্চ রাজ্য সভার নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থীকে হারানোর জন্য তদনীন্তন কংগ্রেসী মন্ত্রী হিমন্ত ও মন্ত্রী রকিবুল হুসেন কার্তিকসেনা সিংহ, রুমি নাথ, শম্ভু সিংহ মাল্লা ও অভিজিৎ হাজরিকাদের কার্যত অপহরণ করে লুকিয়ে রাখেন। ভোটের সময় হিমন্ত নিজে গাড়ি চালিয়ে তাঁদের নিয়ে বিধানসভায় ঢোকেন। কংগ্রেসের প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেন চারজন। দল থেকে বরখাস্তও হন। তখন বিজেপি হিমন্ত ও কংগ্রেসের চরম সমালোচনা করেছিল। গগৈ বলেন, "মুখে নীতিকথা আওড়ানো বিজেপিই এখন কী ভাবে একই কাণ্ড করে? কোথায় গেল তাঁদের আদর্শ?" কিন্তু রাজ্যসভায় বিধায়ক কেনা বেচা তাঁকে না জানিয়ে কী ভাবে করলেন হিমন্ত? গগৈ বলে দেন, "আমি সব জানতাম। ঘোড়া কেনাবেচা হোক বা অন্য যে নামে ডাকা হোক- সে বার আমার নির্দেশেই হিমন্ত সব করেছে। আমরা রাজনীতি ও কূটনীতির আশ্রয় নিয়েছিলাম। কিন্তু বড়-বড় কথা বলা বিজেপি কেন সেই পথে হাঁটছে?" মণিপুরের জয়ের জন্য একক হিমন্তের ভূমিকাও বড় করে দেখতে নারাজ গগৈ।
অন্য দিকে, ক্ষমতায় এলেই মণিপুরকে অবরোধমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ইউএনসি এখনও অবরোধ তোলেনি। গত বছর ১ নভেম্বর থেকে চলতে থাকা জাতীয় সড়কে অর্থনৈতিক অবরোধ তুলতে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজ্যের মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবে ইউএনসিকে অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। জানান, নাগা সংগঠনের দাবিদাওয়া নিয়ে প্রয়োজনে ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের ব্যবস্থাও তিনি করবেন। তড়িঘড়ি নাগা এলাকা ভেঙে নতুন জেলা গড়ার সিদ্ধান্তও পুনর্বিবেচনা করা হবে। বীরেন বলেন, "রাজ্যের বিকাশের ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতার স্থান থাকবে না। পাহাড়-সমতলের উন্নয়ন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করব। নেব কাজের খতিয়ান।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy