সনিয়া গান্ধী (বাঁদিকে) এবং কঙ্গনা রানাউত (ডানদিকে)। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যবাসীর স্বার্থে নয়। হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস সরকার বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে তা সনিয়া গান্ধী এবং তাঁর পরিবারকে দিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত!
হিমাচলের মাণ্ডীর সাংসদ কঙ্গনা একটি সাক্ষাৎকারে ওই অভিযোগ করার পরেই কড়া জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য বিক্রমাদিত্য সিংহ বলেন, ‘‘কঙ্গনা বুদ্ধিবৃত্তির দিক থেকে কতটা দেউলিয়া, তা তাঁর মন্তব্যেই প্রকাশ পেয়েছে।’’ বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা অভিযোগের প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে কংগ্রেস তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্রমাদিত্য।
প্রসঙ্গত, অতীতে বহুবারই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা। সাংসদ হওয়ার পরেও সেই প্রবণতা অব্যাহত। আশির দশকে স্বর্ণমন্দিরে সেনা অভিযানে নিহত খলিস্তানি নেতা জার্নেল সিংহ ভিন্দ্রানওয়ালেকে গত সপ্তাহে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলেছিলেন কঙ্গনা। তাঁর সেই মন্তব্যের নিন্দা করে এক্স পোস্টে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোমপ্রকাশ লিখেছিলেন, ‘‘মনে রাখবেন, এ ধরনের মন্তব্য শিখ জনগোষ্ঠীর ভাবাবেগ আহত করতে পারে। পঞ্জাবে শান্তি নষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করা উচিত নয়।’’ তার আগে অগস্টে, সমাজমাধ্যমের একটি পোস্টে কঙ্গনা লিখেছিলেন, ‘‘ভারতে কৃষক আন্দোলন বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের জন্যই তা হতে পারেনি।’’ ওই পোস্টে কঙ্গনা এ-ও লিখেছিলেন যে, ‘‘কৃষক আন্দোলন চলাকালীন ঝুলন্ত অবস্থায় বহু দেহ পাওয়া গিয়েছে। সেই সময় প্রচুর ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে।’’ এর পরেই বিজেপির তরফে লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছিল— ‘‘দলের নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি কঙ্গনাকে। তাঁকে সেই অনুমতিও দেওয়া হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy