প্রতীকী ছবি।
রাহুল গাঁধীর সঙ্গে মাদক যোগের অভিযোগ নিয়ে কর্নাটকে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে শুরু হয়েছে বাক্যুদ্ধ। কর্নাটক বিজেপির প্রধান নলিন কুমার কটিল অভিযোগ করেছেন, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল মাদকাসক্ত এবং মাদক পাচারকারী। এই অভিযোগের পাল্টা হিসেবে বিজেপিকে সভ্য হওয়ার পাঠ পড়াল কংগ্রেস। কর্নাটক কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমার জানান, রাজনীতিতে বিরোধীদের প্রতি ভদ্র এবং শ্রদ্ধাশীল হওয়া প্রয়োজন। রাহুলের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্যের জন্য বিজেপির ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘নিরক্ষর’ বলে আক্রমণ করেছিল কর্নাটক কংগ্রেস। দলের এই ‘অভব্য’ টুইটের জন্য গত কালই দুঃখপ্রকাশ করেছেন শিবকুমার।
এই ঘটনার পরে রাহুলের বিরুদ্ধে মাদক নেওয়ার অভিযোগ আনেন নলিন। তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের জি-২৩ বলছে সনিয়া গাঁধী সভাপতি নন। সনিয়া গাঁধী বলছেন, তিনিই সভাপতি। অন্য দিকে রাহুল গাঁধী বলছেন, তিনি সভাপতি হবেন। আমাকে বলুন, রাহুল গাঁধী কে? রাহুল গাঁধী এক জন মাদকাসক্ত এবং মাদক কারবারী... এটা আমি বলছি না। সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশত হয়েছে।’’ এর উত্তরে বুধবার শিবকুমার বলেন, ‘‘গত কাল আমি বলেছিলাম, রাজনীতিতে আমাদের ভদ্র এবং শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। এমনকি আমাদের বিরোধীদের প্রতিও। আমি আশা করি বিজেপিও আমার সঙ্গে একমত হবে এবং তাদের রাজ্য সভাপতি রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে যে আপত্তিকর এবং অসংসদীয় মন্তব্য করেছেন, তার জন্য ক্ষমা চাইবে।’’
কর্নাটক কংগ্রেসের তরফে টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘অঙ্গুঠা ছাপ’ (নিরক্ষর) বলে আক্রমণ করা হয়েছিল। তাই নিয়ে বিজেপির প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে কংগ্রেস। সেই সমালোচনার জবাবে গত কাল শিবকুমার টুইট করেছিলেন, ‘‘আমি সব সময় বিশ্বাস করি রাজনীতিতে সভ্য হওয়া প্রয়োজন এবং সংসদীয় ভাষাই প্রয়োগ করা উচিত।’’ তিনি আরও জানিয়েছিলেন, এক নতুন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার ওই অসভ্য টুইটটি করেছিলেন। টুইটটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ দিন বিজেপিকে সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন শিবকুমার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy