ছবি: সংগৃহীত।
কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গোষ্ঠীর প্রধান দাবি ছিল, দলের সাংগঠনিক নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে এ বার দলের বুথ থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত কোথায় কত জন, কোন বয়সের সদস্য রয়েছেন, তার তথ্য-ভান্ডার তৈরির লক্ষ্য নিচ্ছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, বুথ, ব্লক, জেলা, বিধানসভা ও লোকসভা কেন্দ্র থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত সংগঠনের ছবি দলের নেতৃত্বের সামনে স্পষ্ট হয়ে যাবে। সংগঠনে কোথায়, কী ধরনের খামতি রয়েছে, তা-ও বোঝা যাবে।
কী ভাবে তৈরি হবে এই তথ্য-ভান্ডার? আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে সনিয়া গান্ধীর উত্তরসূরি হিসেবে নতুন সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস। তার জন্য ৩১ মার্চের মধ্যে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শেষ করা হবে। সদস্যদের নাম ও অন্যান্য তথ্য নথিভুক্ত করার জন্য ডেটা অ্যানালিটিক্স শাখার চেয়ারম্যান প্রবীণ চক্রবর্তী একটি অ্যাপ তৈরি করেছেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে সদস্য নথিভুক্তি হলে সংগঠনের প্রতিটি স্তরে সদস্যদের তালিকা দলীয় নেতৃত্বের সামনে আসবে। এই তালিকা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কাছেও পাঠিয়ে দেওয়া হবে। প্রত্যেককে সদস্যপদের জন্য ই-কার্ড দেওয়া হবে।
সাংগঠনিক নির্বাচন করানোর দায়িত্ব দিয়ে রাজ্যে রাজ্যে প্রদেশ রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন বিধায়ক নাদিম জাভেদকে পশ্চিমবঙ্গের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। আবার পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তীকে ওড়িশার সহকারী প্রদেশ রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। গতকাল দিল্লিতে এআইসিসি-র সদর দফতরে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষের প্রধান মধুসূদন মিস্ত্রি এ বিষয়ে বৈঠক করেন।
এর আগেও একাধিক বার নানা যুক্তি দেখিয়ে কংগ্রেসের সভাপতি পদের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার প্রধান কারণ ছিল, রাহুল গান্ধী ফের সভাপতি পদের দায়িত্ব নিতে তৈরি ছিলেন না। প্রশ্ন হল, এখন কি রাহুল দায়িত্ব নিতে তৈরি? না কি তিনি অরাজি হলে ফের নির্বাচন পিছিয়ে যাবে?
কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, এ বার নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া কঠিন। কারণ, নিয়মমাফিক পাঁচ বছর পরেই সাংগঠনিক নির্বাচন হচ্ছে। গতকালের বৈঠকেও বলে দেওয়া হয়েছে, ২০ জুলাইয়ের মধ্যে জেলা কংগ্রেস কমিটির নির্বাচন শেষ করে ২০ অগস্টের মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির নির্বাচন সেরে ফেলতে হবে। তার পরে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এআইসিসি সভাপতির নির্বাচন সেরে ফেলা হবে। তাই প্রদেশ রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের খুব দ্রুত দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যে চলে যেতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy