সলমন খুরশিদ ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী।
বিধানসভা নির্বাচনের এখনও দু’বছর বাকি উত্তরপ্রদেশে। কিন্তু তার আগেই সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন থেকে দলকে ঢেলে সাজার কাজটা শুরু করে দিলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। ভোটের রণনীতি তৈরি করতে নতুন সাতটি নির্বাচনী কমিটি গঠন করেছে কংগ্রেস। ওই কমিটিতে যেমন বেশ কিছু নতুন মুখ আনা হয়েছে, তেমনই বেশ কিছু শীর্ষ নেতাও বাদ পড়েছেন।
সূত্রের খবর, এ বারের কমিটিতে নতুন চমক সলমন খুরশিদ। তাঁকে নির্বাচনের ইস্তেহার কমিটির দায়িত্বে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও ওই কমিটিতে ঠাঁই হয়েছে পিএল পুনিয়া, আরাধনা মিশ্র, সুপ্রিয়া শ্রীনাতে, বিবেক বনশল, অমিতাভ দুবের মতো বেশ কিছু নতুন মুখের। অন্য দিকে, দলের ‘আউটরিচ’ কমিটিতে প্রমোদ তিওয়ারি, প্রদীপ জৈন, গজরাজ সিংহ, নাসিমউদ্দিন সিদ্দিকি, ইমরান মাসুদ এবং বল কুমার পটেলের মতো বেশ কিছু নতুন মুখ আনা হয়েছে।
অন্য দিকে, রাজ বব্বর, জিতিন প্রসাদ, নির্মল ক্ষত্রী এবং নসিব পাঠানের মতো বেশ কিছু সামনের সারির নেতা কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বের বদল চেয়ে কয়েক দিন আগেই দলেরই ২৩ জন নেতা সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখেছিলেন। তাঁদের মধ্যে গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বল, রাজ বব্বরের মতো শীর্ষ নেতারা ছিলেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেই চিঠি লেখার খেসারত দিতে হল রাজ বব্বরদের। তাঁদের উপর আর আস্থা রাখতে চাইছে না দল। তাই নতুন কমিটিতে তাঁদের ঠাঁই না দিয়ে কার্যত সেই ইঙ্গিতই স্পষ্ট করে দিলেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: ফের নতুন সংক্রমণ ৯০ হাজারের বেশি, দেশে ৪২ লক্ষ ছাড়াল আক্রান্তের সংখ্যা
নেতৃত্বের বদল নিয়ে দলের অন্দরেই দুটো দলে ভাগ হয়ে গিয়েছিলেন নেতারা। তবে সলমন খুরশিদের মতো বেশ কিছু নেতা গাঁধী পরিবারের নেতৃত্বের উপরই আস্থা রাখেন। তা ছাড়া গাঁধী পরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ খুরশিদ। এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছিলেন, “আমি স্পষ্ট বলছি কংগ্রেসের মাথাই হচ্ছে গাঁধীরা। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। বিরোধীরাও নয়। দলে সভাপতি থাকল কি থাকল না তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। আমাদের এক জন নেতা আছেন (রাহুল গাঁধী) এবং সেটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy