কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। —ফাইল চিত্র।
কেরলে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান ও বাম সরকারের সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। কেরালা ও কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের মনোনীত লোকজনকে সেনেটে নিয়োগ নিয়ে এই দফায় মতান্তরের সূত্রপাত হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের অভিযোগ, সঙ্ঘ পরিবারের লোকজন দিয়ে সেনেট ভরে দিয়েছেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-ও।
মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন অভিযোগ করেছেন, একের পর এক উস্কানিমূলক কাজ করে কেরলে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছেন রাজ্যপাল। সঙ্ঘ পরিবারের নির্দেশ মেনে রাজ্যপাল রাজ্যের নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করে চলেছেন বলেও অভিযোগ বিজয়নের। এর পাল্টা হিসাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি নিবাসে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নকে ‘খুনি’ এবং ‘মাস্তান’ বলে অভিহিত করে বলেন, নিজের অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে তিনি মাথা নত করবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর ‘মাস্তানিতে’ ভয়ও পাবেন না। এসএফআই-কেও তিনি ‘গুন্ডা মাস্তানদের দল’ আখ্যা দিয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন। রাজ্যপাল বলেন, “সেনেটে যদি সিপিএমের লোকগুলোকে নিয়ে নিতাম, বিজয়ন কোনও কথাই বলতেন না। অশান্তিও হত না!” রাজ্যে সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার সূত্রপাত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন খান।
সোমবার সিপিএমের পলিটব্যুরো বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে, দায়িত্বে এসেই রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক রাজনৈতিক আক্রমণ করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করে সব সীমা অতিক্রম করেছেন। রাজ্যপাল থাকার যোগ্যতা তাঁর নেই। সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার সূচনা হয়েছে বলে তিনি নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে ভেঙে দেওয়ার হুমকিই দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy