ফাইল চিত্র।
প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এবং তেলঙ্গানার একাংশে। আবহবিদদের একাংশের দাবি, মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে গোদাবরী নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। এই মেঘভাঙা বৃষ্টি ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ বলে আখ্যা দিলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)। বন্যায় ভেসে যাওয়া ভদ্রাচলম ও সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে তিনি দাবি করেন, দেশে সমস্যা তৈরি করতেই মেঘভাঙা বৃষ্টি ঘটানো হয়ে থাকে। লেহ্-লাদাখ, উত্তরাখণ্ডের পর গোদাবরী নদী সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে মেঘভাঙা বৃষ্টির জন্য এমন বন্যা পরিস্থিতি তারই প্রমাণ বলে দাবি করেন তিনি।
রবিবার দুপুরে ভদ্রাচলমের ত্রাণ শিবিরে গিয়েছিলেন কেসিআর। সেখানে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ১০ হাজার টাকা ত্রাণের ঘোষণা করেন তিনি। এর পরেই তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির নেতা বলেন, ‘‘এই মেঘভাঙা বৃষ্টি একটা নতুন ব্যাপার। গোদাবরী সংলগ্ন এলাকায় বন্যার কারণ এই মেঘভাঙা বৃষ্টি। বহু রিপোর্টেই মেঘভাঙা বৃষ্টিকে বিদেশিদের ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমে লেহ্-লাদাখে মেঘভাঙা বৃষ্টি হল, তার পর হল উত্তরাখণ্ডে। এ বার গোদাবরীর তীরে। অনেকের দাবি, দেশে সমস্যা তৈরি করতেই মেঘভাঙা বৃষ্টি ঘটানো হয়।’’
প্রসঙ্গত, গোদাবরী ফুঁসে ওঠায় ভদ্রাচলমের জলস্তর ৭০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল। তবে শনিবার থেকে তা খানিক কমতে শুরু করেছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বন্যাপীড়িত গ্রামগুলি থেকে ইতিমধ্যেই ৬৯ হাজার ৭৪৬ জনকে সরানো হয়েছে। ১৫৬টি ত্রাণ শিবিরে তাঁদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy