ফের কৃষকদের দিল্লি অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হল দিল্লি-পঞ্জাবের শম্ভু সীমানায়। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, কৃষি ঋণ মকুব, পেনশনের ব্যবস্থা এবং বিদ্যুতের বিল না-বাড়ানোর মতো বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে চলা কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তাঁরা দিল্লি অভিযান করবেন। এ দিন সেই মতো ১০১ জন কৃষক সকালে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। শম্ভু সীমানায় তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। আন্দোলনরত কৃষকেরা ব্যারিকেড টপকে এগোতে গেলে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। কৃষকদের হটাতে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। পুলিশের মারে অন্তত ২০ জন কৃষক আহত হয়েছেন বলে কৃষক সংগঠনগুলির তরফে দাবি করা হয়েছে। এর পরে কৃষকেরা তাঁদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান এ দফায় স্থগিত করে দেন। আবার তাঁরা দিল্লি অভিযান করবেন, না কি অন্য পথে আন্দোলন চালাবেন, সে ব্যাপারে পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন কৃষক নেতৃত্ব। কৃষক আন্দোলনের নেতা তেজভির সিংহ বলেন, ‘‘আমরা আজকের কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হরিয়ানা পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের ফলে বহু কৃষক গুরুতর আহত হয়েছেন। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে খুব তাড়াতাড়িই ঘোষণা করব।’’
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কৃষকেরা দিল্লি সংলগ্ন পঞ্জাব এবং হরিয়ানার শম্ভু এবং খানাউড়ি সীমানায় ৩০৭ দিন ধরে অবস্থানে বসে রয়েছেন। নভেম্বর থেকে এই তিনিয়ে তৃতীয় বার ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি নিলেন তাঁরা।কিন্তু কৃষকদের আটকাতে শম্ভু সীমানায় ১৬৩ ধারা জারি করেছে পুলিশ। অম্বালার বিস্তীর্ণ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের মতো পদক্ষেপও করে তারা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)