শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। —ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম পর্বে বৃহত্তম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের কাজের ‘শ্লথ গতি’ এবং ‘লোকবলের অভাব’ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি টিএস ঠাকুর বলেছিলেন, ‘‘সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেই তো একটা সিবিআই তদন্ত হওয়া প্রয়োজন!’’
সোমবার সিবিআই দিবসে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানালেন, তদন্তের চাপে সিবিআই সঠিক ভাবে কাজ করতে পারছে না। সেই সঙ্গে দেশের বৃহত্তম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তাঁর পরামর্শ— ‘‘কেবলমাত্র সেই মামলাগুলিতেই নজর দিতে হবে যা জাতীয় নিরাপত্তা এবং জাতির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত।’’
বর্তমান পরিস্থিতিতে সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে যে ভাবে নির্বিচারে বিভিন্ন মামলার তদন্তের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হচ্ছে, তা দায়িত্ব পালনের পথে অন্তরায় বলে সিবিআই প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ডিপি কোহলি স্মারক বক্তৃতায় জানান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআইকে ক্রমাগত দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকারী সংস্থা হিসাবে তার ভূমিকার বাইরেও বিভিন্ন ধরনের ফৌজদারি মামলাগুলি অনুসন্ধান করতে বলা হচ্ছে৷’’
মূলত ডেপুটেশনে আসা অফিসারদের নিয়ে গঠিত সিবিআইকে চাপের এই পরিস্থিতিতে তদন্তে প্রয়োজনীয় গতি আনার লক্ষ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে বলেও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, ‘‘প্রযুক্তি অপরাধের পরিসর বদলে দিয়েছে। তদন্তকেও তার সঙ্গে তাল মেলাতে হবে।’’ কয়লা বণ্টন থেকে ব্যপম, টু-জি থেকে নন্দীগ্রামকাণ্ড, নিয়োগ দুর্নীতি থেকে আসানসোলের ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুন— গত কয়েক দশকে একের পর তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। যা তদন্তের গতিকে প্রভাবিত করছে বলে অতীতে শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাটিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy