সিকিম সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবারই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে হাত মিলেয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। এমনকী, পরস্পরের প্রশংসা করে বিবৃতিও দেন তাঁরা। আর সে দিনই নয়াদিল্লির চিনা দূতাবাসের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে ভারতে থাকা চিনা নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলল বেজিং।
শুক্রবার দূতাবাসের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতে বসবাসকারী বা বেড়াতে আসা তাদের নাগরিকরা যেন সাবধানে থাকেন। নাগরিকদের ব্যক্তিগত জীবন এবং স্থানীয় নিরাপত্তার প্রতিও নজর রেখে চলতে বলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে বেজিংয়ের এই সতর্ক বার্তা নয়া মাত্রা যোগ করতে চলেছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। যদিও চিন সরকারি ভবে এটাকে ‘সতর্কতা নয় পরামর্শ’ বলে উল্লেখ করছে।
আরও পড়ুন: মুখে প্রশস্তি, হাত মেলালেন মোদী-চিনফিং
পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৩ সালে ভারতে এসেছিলেন মোট ২১,১৫২ জন চিনা পর্যটক। সেখানে ২০১৩ সালে সংখ্যাটা পৌঁছে যায় দু’লাখে। বর্তমানে যা দু’লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, এ দেশে বহু সংস্থায় কর্মরত রয়েছেন অনেক চিনা নাগরিক।
সিকিম সীমান্তে টানাপড়েনে উত্তেজনা বাড়ছে ভারত-চিনের মধ্যে। বিশেষ করে চিনের সরকারি সংবাদপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’ প্রায় রোজই যে ভাবে ভারতকে কটাক্ষ করে চলেছে, তাতে বাস্তব পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। ডোকা লা-য় এক মাসের উপর মুখোমুখি রয়েছে দু’দেশের সেনা। এত দিন ধরে দু’দেশের সেনা আর কখনও এমন উত্তেজনার পরিস্থিতিতে মুখোমুখি অবস্থায় দাঁড়ায়নি। এই পরিস্থিতিতেই শুক্রবার মোদী-শি মোলাকাতের পর পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাবে বলে মনে আসা করছিলেন অনেকেই। কিন্তু, চিনা দূতাবাসের এই বিবৃতি দু’পক্ষের মধ্যেকার অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে আবার নতুন মাত্রা যোগ করে দিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy