ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের বিষয়টি ভারত দাগিয়ে দেওয়ার কারণে স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে ইসলামাবাদ এবং বেজিং। ফাইল চিত্র।
‘সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান’— চিন এবং পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিতে আসন্ন শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন(এসসিও)-এর শীর্ষ সম্মেলনে আলোচ্যসূচির কেন্দ্রীয় বিষয় হিসাবে এটিকেই রাখল ভারত। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, এর ফলে অস্বস্তিতে চিন ও পাকিস্তান।
এ বারের এসসিও গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির (যার মধ্যে পূর্ব ইউরোপের রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে রয়েছে চিন, ভারত এবং পাকিস্তান) চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্র ভারত। স্বাভাবিক ভাবে তারা এ বার আয়োজক দেশও বটে। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, আগামী ৪ জুলাই শীর্ষ সম্মেলনটি নয়াদিল্লিতে মুখোমুখি বৈঠকের মাধ্যমেই হওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী ভারতে আসার প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছিলেন এসসিও-র আর এক সদস্য দেশ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ ব্যাপারে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর থেকে ইতিবাচক সম্মতি পাওয়া যায়নি। ফলে ভিডিয়ো মাধ্যমেই হতে চলেছে এসসিও শীর্ষ সম্মেলন।
ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের বিষয়টি ভারত দাগিয়ে দেওয়ার কারণে স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে ইসলামাবাদ এবং বেজিং। সেই কারণে চিনা প্রেসিডেন্ট ভারতে আসার বিষয়ে নিষ্পৃহ কিনা, সেই প্রশ্নও উঠছে। কারণ গত কয়েক বছর ধারাবাহিক ভাবে চিন ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই ভৌগোলিক অখণ্ডতায় হস্তক্ষেপ, আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশ এবং সার্বভৌমত্বকে অগ্রাহ্যের অভিযোগ তুলেছেসাউথ ব্লক।
বিভিন্ন বহুপাক্ষিক মঞ্চে অথবা ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কখনই স্বাভাবিক হবে না, যত ক্ষণ সীমান্ত সমস্যার সমাধান হবে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন পূর্ব লাদাখে চিনা সেনা ঘাঁটি গেড়ে থাকার তিন বছর অতিক্রান্ত। স্বাভাবিক ভাবেই মুখোমুখি বৈঠকে আলোচ্যসূচির সূত্রে ভারত বিশদে সীমান্তে লালফৌজ আগ্রাসনের প্রসঙ্গ তুলবে। ভিডিয়ো মাধ্যমে তার মোকাবিলা করা বা বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়া চিনের পক্ষে অনেকটা সহজ বলে মনে করছে কূটনৈতিক শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy