Child prodigy Shakuntala Devi is popularly known as the human computer dgtl
shakuntala devi
কঠিন অঙ্ক কষেছেন এক নিমেষে, আসল শকুন্তলা দেবীকে চেনেন?
১৯৮০ সালে তাঁকে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজে জিজ্ঞাসা করা হল, ৭৬৮৬৩৬৯৭৭৪৮৭০ এবং ২৪৬৫০৯৯৭৪৫৭৭৯-র গুণফল কত? ২৮ সেকেন্ডের মধ্যে এল সঠিক উত্তর-১৮৯৪৭৬৬৮১৭৭৯৯৫৪২৬৪৬২৭৭৩৭৩০।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৯ ১০:২৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
শকুন্তলা দেবীর বিস্ময়প্রতিভা আজও অথৈ জলের মতোই রহস্যময়। গণিতকন্যাকে কুর্নিশ জানিয়ে তৈরি হয়েছে তাঁর বায়োপিক, ‘শকুন্তলা দেবী: হিউম্যান কম্পিউটার’। নাম ভূমিকায় বিদ্যা বালন। সেই ছবি মুক্তি পেল শুক্রবার। বিদ্যার অভিনয়ও নজর কেড়েছে। কিন্তু কে ছিলেন এই আশ্চর্য প্রতিভাময়ী শকুন্তলাদেবী?
০২১৬
রক্ষণশীল কন্নড় পরিবারের মেয়ে হয়েও শকুন্তলার শৈশব কেটেছিল সার্কাসের তাঁবুতে। কারণ তাঁর বাবা পারিবারিক পেশা, পৌরোহিত্য গ্রহণ না করে চলে এসেছিলেন সার্কাসের দুনিয়ায়। দেখাতেন ট্রাপিজের খেলা। তারপরে তিনি সিংহের প্রশিক্ষক।(ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
০৩১৬
শকুন্তলার জন্ম ১৯২৯ সালের ৪ নভেম্বর, আজকের কর্নাটকে। প্রথাগত শিক্ষালাভের সুযোগ কোনওদিন হয়নি। কিন্তু ছোট থেকেই আশ্চর্য প্রতিভার অধিকারিণী তিনি। পলকের মধ্যে মুখে মুখে করতেন জটিল হিসেব। গণিতের সীমাহীন সংখ্যা যেন হার মানত তাঁর অপ্রতিরোধ্য স্মরণশক্তির কাছে। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
০৪১৬
মেয়ের প্রতিভার সন্ধান পেয়ে তাঁর বাবা ছাড়লেন সার্কাসের কাজ। শুরু করলেন রোড শো। সেখানেও হাজির শকুন্তলার জাদু। যত বড়ই হিসেব হোক, সঠিক উত্তর হাজির নিমেষের মধ্যে। বালিকার ক্ষমতায় তাজ্জব উপস্থিত দর্শক। (ছবি:শাটারস্টক)
০৫১৬
ক্রমে শকুন্তলার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল। ছ’বছরের মেয়ের ক্ষমতায় হতবাক মাইসুরু বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের একাধিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিস্মিত করার পরে ডাক এল টেমসের ওপার থেকে। ১৯৪৪ সালে বাবার সঙ্গে শকুন্তলা পাড়ি দিলেন লন্ডন। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
০৬১৬
১৯৫০ সালে শকুন্তলা ইউরোপের বেশ কিছু দেশ সফর করলেন। যেখানেই তিনি যান, তাঁর বিস্ময়প্রতিভার কাছে নতজানু তাবড় প্রতিভাবান। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
০৭১৬
১৯৭৭ সালে সাদার্ন মেথডিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি হারিয়ে দিলেন কম্পিউটারকে। শকুন্তলা দেবীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ৯১৬৭৪৮৬৭৬৯২০০৩৯১৫৮০৯৮৬৬০৯২৭৫৮৫৩৮০১৬২৪৮৩১০৬৬৮০১৪৪৩০৮৬২২৪০৭১২৬৫১৬৪২৭৯৩৪৬৫৭০৪০৮৬৭০৯৬৫৯৩২৭৯২০৫৭৬৭৪৮০৮০৬৭৯০০২২৭৮৩০১৬৩৫৪৯২৪৮৫২৩৮০৩৩৫৭৪৫৩১৬৯৩৫১১১৯০৩৫৯৬৫৭৭৫৪৭৩৪০০৭৫৬৮১৬৮৮৩০৫৬২০৮২১০১৬১২৯১৩২৮৪৫৫৬৪৮০৫৭৮০১৫৮৮০৬৭৭১-এর তেইশতম মূল কত? ৫০ সেকেন্ডের মধ্যে তিনি উত্তর দেন। শকুন্তলাদেবীর উত্তর ৫৪৬,৩৭২,৮৯১ যে সঠিক, সেটা জানাতেও কম্পিউটার সময় নিয়েছিল আরও ১০ সেকেন্ড বেশি! (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
০৮১৬
প্রশ্ন দু’টি করার পরে নিজের নোটবুকে লেখাও হয়নি জেনসেনের, তার আগেই হাজির সঠিক উত্তর! যথাক্রমে ৩৯৫ এবং ১৫। হতবাক জেনসেনের হাতের পেন্সিল হাতেই রয়ে গেল। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
০৯১৬
১৯৮০ সালে তাঁকে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজে জিজ্ঞাসা করা হল, ৭৬৮৬৩৬৯৭৭৪৮৭০ এবং ২৪৬৫০৯৯৭৪৫৭৭৯-র গুণফল কত? ২৮ সেকেন্ডের মধ্যে এল সঠিক উত্তর-১৮৯৪৭৬৬৮১৭৭৯৯৫৪২৬৪৬২৭৭৩৭৩০। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
১০১৬
১৯৮৮ সালে তাঁর আমেরিকা সফর স্মরণীয়। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক আর্থার জেনসেনের মুখোমুখি হলেন শকুন্তলা দেবী। তাঁকে দু’টি প্রশ্ন করেন জেনসেন। জানতে চান ৬১,৬২৯,৮৭৫-এর কিউব রুট বা ঘনমূল এবং ১৭০,৮৫৯,৩৭৫-এর সেভেন্থ রুট বা সপ্তম মূল কত ? (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
১১১৬
হেলায় বিশ্বজয়ের পরে গণিতকন্যার কীর্তি জায়গা পেল গিনেস বুক অব ওয়র্ল্ড রেকর্ডসে। তাঁর নতুন নাম হল ‘হিউম্যান কম্পিউটার’। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
১২১৬
ছয়ের দশকের মাঝামাঝি তিনি বিয়ে করেন আইএএস অফিসার পরিতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁদের একমাত্র কন্যার নাম অনুপমা। তবে শকুন্তলার দাম্পত্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায় ১৯৭৯ সালে। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
১৩১৬
পরবর্তীকালে নিজেকে শুধু গণিতকন্যার পরিচয়ে সীমাবদ্ধ রাখেননি শকুন্তলা দেবী। বিভিন্ন বিষয়ে বই লিখেছেন। ১৯৭৭ সালে, বিবাহবিচ্ছেদের দু’বছর আগে প্রকাশিত হয় তাঁর বই ‘দ্য ওয়র্ল্ড অব হোমোসেক্সুয়ালস’। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
১৪১৬
সময়ের তুলনায় এগিয়ে থাকা এই বই তখন সে ভাবে কদর পায়নি। কিন্তু এখন ভারতে সমকামিতা নিয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বই এটি। ১৯৭৭-এই শকুন্তলা দেবী সোচ্চার হয়েছিলেন সমকামিতাকে ‘অপরাধ’-এর পরিচয় দেওয়ার বিরুদ্ধে। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
১৫১৬
গণিত-সম্রাজ্ঞী শকুন্তলা জ্যোতিষচর্চাও করতেন। এ বিষয়ে এবং রান্নাবান্না নিয়েও বই আছে তাঁর। ১৯৮০ সালে লোকসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ইন্দিরা গাঁধীর বিরুদ্ধে। তবে পেয়েছিলেন নামমাত্র ভোট। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
১৬১৬
আটের দশকের গোড়ায় শকুন্তলা দেবী ফিরে আসেন তৎকালীন ব্যাঙ্গালোর, আজকের বেঙ্গালুরুতে। ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল ৮৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)