Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
coronavirus

গোপীনাথের টিকা প্রশস্তি, মাস্ক নিয়ে মামলা বিচারপতির 

করোনা-সঙ্কটে গোটা বিশ্বের জন্য টিকা তৈরি ও নানা দেশে সরবরাহ করে ভারত যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, তার প্রশংসা করেন তিনি।

গীতা গোপীনাথ।

গীতা গোপীনাথ। —ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২১ ০৭:২৬
Share: Save:

কোভিডের বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়ছে ভারত। এই সঙ্কটে ভারতের টিকা সংক্রান্ত নীতি গোটা দুনিয়ার সহায়ক হচ্ছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এক বক্তৃতায় এমনই মন্তব্য করলেন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ।

গীতার কথায়, ‘‘ভারতের টিকা নীতির কথা সত্যিই আলাদা করে বলতে হয়। যদি কেউ জানতে চান, সারা বিশ্বের জন্য টিকা তৈরির হাব কোথায় আছে, উত্তর হবে, ভারত।’’ করোনা-সঙ্কটে গোটা বিশ্বের জন্য টিকা তৈরি ও নানা দেশে সরবরাহ করে ভারত যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, তার প্রশংসা করেন তিনি। সর্ববৃহৎ টিকা উৎপাদক সংস্থা হিসেবে সিরাম ইনস্টিটিউটের ভূমিকারও প্রশংসা করেন।

কোভিডের টিকার ক্ষেত্রে দেশ যখন এমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে, তখন দেশবাসীর একাংশের আচরণ যে একেবারেই দায়িত্বশীল নয়, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বারবার। সম্প্রতি নিজে বিমান সফর করে থুতনিতে মাস্ক ঝোলানো সহযাত্রীদের দেখে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছেন দিল্লি হাইকোর্টের এক বিচারপতি। অন্তর্দেশীয় সমস্ত বিমান সংস্থা এবং বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-র উদ্দেশে এ নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশ জারি করেছেন তিনি।

বিচারপতি সি হরি শঙ্কর গত ৫ মার্চ কলকাতা থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে দিল্লি আসেন। তিনি দেখেন, বিমানবন্দরের টার্মিনাল থেকে বিমান পর্যন্ত যাওয়ার বাস থেকে শুরু করে বিমানের ভিতরেও অনেক যাত্রী ঠিক ভাবে মাস্ক পরেননি। অনেকের মাস্ক ঝুলছে থুতনির নীচে। বিচারপতির মতো কেউ কেউ এ নিয়ে আপত্তি জানালে তাঁরা বাধ্য হয়ে ঠিক ভাবে মাস্ক পরেন। যদিও কেবিন ক্রু-রা জানিয়ে দেন, তাঁরা যাত্রীদের ঠিক ভাবে মাস্ক পরতে অনুরোধ করতে পারেন। কিন্তু বাধ্য করার উপায় তাঁদের নেই।

এ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করার সময় বিচারপতি উল্লেখ করেছেন যে, এক বার কমার পরে দেশে যখন করোনার প্রকোপ আবার বাড়ছে, তখন এমন আচরণ সমর্থনযোগ্য নয়। বিমানকর্মীদের কিছু সময় অন্তর সারা বিমানে নজরদারি চালিয়ে দেখতে হবে, যাত্রীরা মাস্ক পরা-সহ কোভিড বিধি মানছেন কি না। নাক ও মুখ ঢেকে মাস্ক পরতেই হবে। কোনও যাত্রী তা করতে না-চাইলে তাঁকে তৎক্ষণাৎ নামিয়ে দিতে হবে। বারবার বলা সত্ত্বেও কেউ কোভিড বিধি মানতে না-চাইলে ডিজিসিএ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে তাঁর নাম ‘নো-ফ্লাই লিস্টে’ সাময়িক বা স্থায়ী ভাবে তুলে দেওয়ার কথাও বলেছে আদালত।

কোভিড বিধি না-মানলে কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা বোর্ডিং পাসের সঙ্গেই যাত্রীদের দিতে হবে। বিমানের মধ্যে যাত্রীদের উদ্দেশে ঘোষণাতেও তা উল্লেখ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।

অন্য বিষয়গুলি:

IMF coronavirus Gita Gopinath
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy