নিহত সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকর। ছবি: সংগৃহীত।
সংবাদমাধ্যমে কাজ করার সুবাদে বস্তার এলাকায় বেশ পরিচিত ছিলেন। শুধু তা-ই নয়, নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘বস্তার জংশন’-এর মাধ্যমে বস্তার জেলার নানা রকম খবর তুলে ধরতেন। চ্যানেলের গ্রাহকের সংখ্যাও ছিল দেড় লক্ষাধিক। সেই সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরের হত্যার ঘটনায় তোলপাড় ছত্তীসগঢ়। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাইও বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগ উঠছে যে, ১২০ কোটির দুর্নীতি ফাঁস করার জন্যই সাংবাদিক মুকেশকে খুন হতে হয়েছে। তবে শুধু এই দুর্নীতির ঘটনাই নয়, এর আগে এমন বহু ঘটনা এবং দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ্যে এনেছিলেন মুকেশ, যা ছত্তীসগঢ়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, এমন অনেক খবর প্রকাশ্যে আনার জন্য মুকেশকে হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছে। কিন্তু সে সবকে উপেক্ষা করেই সত্য উদ্ঘাটনের কাজ চালিয়ে গিয়েছেন মুকেশ।
ছত্তীসগঢ়ের বহু অঞ্চলে মাওবাদীদের প্রভাব রয়েছে। মাঝেমধ্যেই মাওবাদী দমন অভিযান চলে ওই অঞ্চলগুলিতে। তেমনই ২০২১ সালে মাওবাদী দমন অভিযানে বেরিয়েছিল সিআরপিএফ। সেই অভিযানে মাওবাদীদের হাতে অপহৃত হন সিআরপিএফ কমান্ডো রাকেশ্বর সিংহ মানহাস। কমান্ডোকে কী ভাবে উদ্ধার করা যায়, এ নিয়ে যখন রাজ্য প্রশাসনে তোলপাড় চলছে, সেই সময় ওই কমান্ডোর মুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন সাংবাদিক মুকেশ। তাঁর এই ভূমিকার জন্য রাজ্য পুলিশের তরফে তাঁকে সম্মানপ্রদানও করা হয়েছিল। সেই সাংবাদিকই যখন বিজাপুরে ১২০ কোটির দুর্নীতি নিয়ে লাগাতার খবর করা শুরু করেন, তাঁকে হুমকির মুখে পড়তে হয় বলে দাবি পরিবারের। শেষমেশ তাঁর দেহ উদ্ধার হল এক ঠিকাদারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy