(বাঁ দিকে) বাড়ির সামনেই গুলি করে উমেশ পালকে খুন করার দৃশ্য এবং গুড্ডু মুসলিম (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
উমেশ পাল খুনের ঘটনায় আদালতে চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। সেই চার্জশিটে হত্যাকাণ্ডে ‘মূল অভিযুক্ত’ হিসাবে তিন জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রথম নামই গুড্ডু মুসলিমের। এ ছাড়াও আরমান এবং সাবির নামে দু’জনের উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। তিন জনই নিহত ‘গ্যাংস্টার’ আতিক আহমেদের গ্যাংয়ের সদস্য। তবে তিন জনের কেউই এখনও পুলিশের নাগালে আসেননি। তাঁদের ধরতে ১৪ রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। এমনকি সাত রাজ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের সন্ধানে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে পুলিশ চার্জশিটে জানিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, অভিযুক্তদের বিষয়ে সন্ধান দিতে পারলে মাথাপিছু পাঁচ লক্ষ টাকা পুরস্কারেরও ঘোষণা করা হয়েছে বলে আদালতে জানান তদন্তকারীরা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজে নিজের বাড়ির সামনে খুন হয়েছিলেন উমেশ। তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় উমেশের দুই দেহরক্ষীরও মৃত্যু হয়। ২০০৫ সালে খুন হয়েছিলেন তৎকালীন বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) বিধায়ক রাজু পাল। সেই খুনে নাম জড়ায় ‘গ্যাংস্টার’ আতিকের। রাজু খুনের একমাত্র সাক্ষী ছিলেন উমেশ। অভিযোগ উঠেছিল, উমেশ যাতে রাজু খুনের সাক্ষ্য না দিতে পারেন, সেই জন্যই তাঁকে খুন করেন আতিক।
পুলিশ চার্জশিটে জানিয়েছে, গুড্ডু মুসলিমই উমেশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। উমেশের পাশাপাশি সেই বোমার আঘাতে তাঁর এক দেহরক্ষীর মৃত্যু হয়। অন্য দেহরক্ষীতে গুলি করেন সাবির এবং আরমান। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই গুড্ডুদের গতিবিধি জানতে পেরেছে পুলিশ। এ ছাড়া কিছু সাক্ষীর বয়ানেও অভিযুক্তদের হামলার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে বলে জানান তদন্তকারীরা। চার্জশিটে তাঁরা আরও জানিয়েছেন, এই তিন অভিযুক্ত ছাড়াও আরও কয়েক জনের খোঁজ চলছে। তাঁরা হলেন আতিকের স্ত্রী সায়িস্তা পারভিন, ভাইয়ের স্ত্রী ফাতিমা। এখনও পর্যন্ত এই খুনের ঘটনার সঙ্গে ১৫ জনের যোগ রয়েছে বলে চার্জশিটে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy