দিল্লি হাই কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের। ফাইল চিত্র।
‘ম্যারিটাল রেপ’ বা বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ কি না, এই প্রশ্নে দিল্লি হাই কোর্টের শুনানি আগেই স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র। শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে হলফনামায় জানানো হল, আগামী সপ্তাহে এ নিয়ে বিশদ আলোচনা হবে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এ বিষয়ে দিল্লি উচ্চ আদালতকে অবহিত করে হলফনামা দিয়েছেন। বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসাবে আইনে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে যুক্তি-তর্ক।
এই আবহে কেন্দ্রের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, আইনগত কড়া পদক্ষেপের আগে এ নিয়ে বিশদ আলোচনা প্রয়োজন। দিল্লি হাই কোর্টে কেন্দ্র আরও জানায়, কোনও রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি আদালতে উপস্থিত নেই। তাঁদের মতামত বা পরামর্শ ছাড়া সিদ্ধান্ত নিলে তা, ন্যায়বিচারের পথে অন্তরায় তৈরি করতে পারে।
শুক্রবার সংশ্লিষ্ট মামলায় সিনিয়র আইনজীবী কলিন গোনস্লেভ মহিলা পক্ষের তরফে সওয়াল করতে গিয়ে তুলে আনেন ইংল্যান্ডের আইন কমিশনের একটি প্রতিবেদন এবং দেশের শীর্ষ আদালতের কয়েকটি রায়ের উদাহরণ। ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ যে অপরাধ, সেই বক্তব্যের সপক্ষে সওয়াল করেন তিনি। তাঁর যুক্তি, ভারতের মতো বৈচিত্রপূর্ণ দেশে একজন মহিলার পক্ষে কোনটি বৈবাহিক ধর্ষণ আর কোনটি নয়, তা প্রমাণ করা কার্যত অসম্ভব। কারণ, এটি মূলত ঘটে ব্যক্তিগত পরিসরে। এর পর তিনি যুক্তি দেন, আদালত যদি স্বামীদের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা থেকে অব্যাহতি বাতিল করে, সে ক্ষেত্রে শাস্তির বিষয়টি সংসদের হাতেই ন্যস্ত থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy