শাহিন বাগে মৌন প্রতিবাদ। ছবি: পিটিআই।
তাঁর দফতরে আবেদন করলে তিন দিনের মধ্যে শাহিন বাগের প্রতিবাদীদের দেখা করার সময় দেবেন বলে বৃহস্পতিবারই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যা শুনে শাহিন বাগে আন্দোলনকারীদের পাল্টা দাবি, দফতরে ডেকে না-পাঠিয়ে বরং বৈঠকে বসার জন্য প্রতিবাদস্থলেই আসুন উচ্চপদস্থ সরকারি প্রতিনিধিরা। আশ্বাস দিতে হলে, তা দেওয়া হোক লিখিত। তবেই কিছুটা নিশ্চিন্ত বোধ করবেন আন্দোলনকারীরা।
ওই আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা শাহিন কওসর শুক্রবার বলেন, ‘‘এককাট্টা হয়ে আজ প্রায় দু’মাস এত ঠান্ডার মধ্যেও পথে বসে আছি আমরা। সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে যাবতীয় প্রতিবাদের কর্মসূচিও ঠিক করা হয়েছে একজোট হয়ে। এই অবস্থায় আমাদের মধ্যে থেকে হঠাৎ ৫-১০ জন প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রকে যাওয়া সম্ভব?’’ আন্দোলনকারীদের এক বড় অংশের আশঙ্কা, ওই ভাবে আলোচনায় অংশ নিতে গেলে, তার জেরে নিজেদের ঐক্যে চিড় ধরতে পারে। তৈরি হতে পারে ভুল বোঝাবুঝি। সেই কারণেই তাঁদের আর্জি, ‘‘আমরা তো এত দিন আলোচনার অপেক্ষাতেই বসে রয়েছি। কথা বলতে চাইলে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা তাঁর উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি একটি বারের জন্য আসতে পারেন না?’’
শাহিন কওসর-সহ প্রতিবাদীদের যুক্তি, ‘‘আমরা তো গোছানো সংগঠন নই। তাই সরকারি প্রতিনিধিরা এখানে এলে সকলে মিলে উদ্বেগ তুলে ধরতে সুবিধা হবে।’’ একই সঙ্গে এক অংশের আশঙ্কা, মন্ত্রকে গিয়ে বন্ধ ঘরে কথা বলে আসার পরে যদি সরকার বৈঠকে যাওয়া প্রতিনিধিদের নামে সম্পূর্ণ উল্টো বয়ান জারি করে, তখন সমস্যায় পড়তে হবে। এক প্রতিবাদীর কথায়, ‘‘এমন যে করা হবে না, তার নিশ্চয়তা কী? সে ক্ষেত্রে অবিশ্বাসের আবহ তৈরি হবে নিজেদের মধ্যেই।’’ বিশ্বাসে ঘাটতি রয়েছে বলেই প্রতিবাদকারীরা বলছেন, তাঁরা শাহিন বাগে বসে আলোচনার পরে কেন্দ্রের তরফে লিখিত আশ্বাস চান। নইলে প্রাথমিক ভাবে সরকার মৌখিক আশ্বাস দিয়েও পরে তার খেলাপ করতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy