প্রতীকী ছবি।
#মিটু বিতর্কের জেরে ইস্তফা দিতে হয়েছে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরকে। দেশ জুড়ে নানা পেশার বহু মহিলা সম্প্রতি নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা নিয়ে সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মেনকা গাঁধী আগেই বলেছিলেন, সরকারের এ নিয়ে পদক্ষেপ করা উচিত। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হেনস্থা রুখতে আজ শেষ পর্যন্ত একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরির কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন ওই মন্ত্রিগোষ্ঠী মূলত কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হেনস্থা থেকে রক্ষা করতে আইনি এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপরেখাকে আরও জোরদার করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আজ জানানো হয়েছে, রাজনাথ সিংহ ছাড়া ওই মন্ত্রিগোষ্ঠীতে থাকছেন, সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং মেনকা গাঁধী।
সরকারি বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের সম্মান বজায় রাখতে কেন্দ্র দায়বদ্ধ। এ নিয়ে বর্তমানে যে আইনের উল্লেখ রয়েছে, তার কোনও ধারায় বদল আনতে হবে কি না, তা যাচাই করে দেখবে এই নয়া মন্ত্রিগোষ্ঠী। আগামী তিন মাসের মধ্যেই এ নিয়ে মতামত জানাতে হবে তাদের। মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক একটি বৈদ্যুতিন অভিযোগ-বাক্স তৈরি করেছে। ‘শি বক্স’ নামে ওই বাক্সে কোনও মহিলা যৌন হেনস্থার শিকার হলেই অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযোগ সরাসরি পৌঁছে যাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে, যাঁরা অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করতে পারবেন।
এর মধ্যে গত কাল ফিল্ম ও টিভি জগতের চেনা মুখ, অভিনেত্রী সোনি রাজদান সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বহু বছর আগে তাঁকেও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল। কোনও মতে তিনি তা আটকান। একটি ফিল্মের শুটিংয়ের সময় ঘটনাটি ঘটে বলে দাবি করেছেন আলিয়া ভট্টের মা। তাঁর দাবি, ‘‘অভিযুক্তের স্ত্রী, সন্তানের মুখ চেয়ে আমি তখন চুপ ছিলাম।’’ এই যুগে হলে হয়তো সঙ্গে সঙ্গেই মুখ খুলতেন, বলেছেন সোনি। ধর্ষণে অভিযুক্ত অভিনেতা অলোক নাথকে নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল সোনিকে। অলোকের সঙ্গে আগে কাজ করেছেন তিনি। সোনিরও বক্তব্য, মদ খাওয়ার পরে অলোক নাথের ব্যবহার অভব্য হয়ে যেত।
যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত পরিচালক-প্রযোজক-অভিনেতাদের ছবি এ বার দেখানো হচ্ছে না মুম্বই চলচ্চিত্র উৎসবে। এই তালিকায় এ বার ঢুকল ইরে গৌড়ার কন্নড় ছবি ‘বালেকেম্পা’। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি ইরে। কিন্তু প্রযোজক সংস্থার দাবি, তারা #মিটু আন্দোলনের পাশে রয়েছে। তাই উৎসব থেকে ছবি সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy