প্রতীকী ছবি।
স্বাধীনতার ৭৫তম বছরের সূচনালগ্নে কাল থেকে শুরু হচ্ছে এক বছর ব্যাপী ‘আজ়াদির অমৃত মহোৎসব’ পালন। বিজেপি সরকারের উদ্যোগে, ৭৪ বছর পরে রচনা করা হবে স্বাধীনতার ইতিহাসের নতুন ভাষ্য।
রাজনীতির লোকজনের মতে, স্বাধীনতার ইতিহাসের সমান্তরাল একটি বয়ান তৈরির পিছনে রয়েছে একাধিক রাজনৈতিক লক্ষ্য: এক, লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয়তাবাদের পারদ চড়িয়ে ভোটবাক্সে ফললাভ। যার শুরুটা হবে কাল সকালে, লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতা দিয়ে। এর পরে ‘আজ়াদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর মঞ্চে দেশ জুড়ে ৭৫টি আঞ্চলিক, ৬টি জাতীয় এবং ২টি আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হবে। দুই, স্বাধীনতার এমন এক ইতিহাস তুলে ধরা, যা আগমার্কা কংগ্রেস আন্দোলনের থেকে দূরে। এর আগে গুজরাত নির্বাচনে অথবা ২৩ জানুয়ারির মঞ্চে এমনটা করা হয়েছিল। তা হল, স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত অথচ অখ্যাত মানুষ বা গোষ্ঠীকে খুঁজে বার করে, আজ়াদির মহোৎসবে তাঁদের যুক্ত করা। এতে দলিত, আদিবাসী, পিছিয়ে পড়াদের খুশি করে ও জাতীয়তাবাদ উস্কে ভোটবাক্সে ইতিবাচক ফল আশা করছে বিজেপি-সঙ্ঘ।
কেন্দ্র জানিয়েছে, আপাতত ১৪৬টি নামের তালিকা তৈরি করেছে বিভিন্ন মন্ত্রক এবং ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব হিস্টরিক্যাল রিসার্চ’। সুভাষচন্দ্র বসু, বিরসা মুন্ডা, তাঁতিয়া টোপের মতো দেশ-বিখ্যাত নামের পাশাপাশি তালিকায় রয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের কবি গরিমেল্লা সত্যনারায়ান, গুজরাতের আইনজীবী ভুলাভাই দেশাই, দিল্লির মির্জা মুঘলরাও। রয়েছেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অনেক অজ্ঞাতনামা স্বাধীনতা সংগ্রামীও।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইটে লিখেছেন, “যাঁদের সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামের কোনও যোগই নেই, যাঁরা গাঁধী ও তাঁর সৈনিকদের বরাবর আক্রমণ করেছেন, তাঁরাই এখন ‘আজ়াদি কা অমৃত মহোৎসব’ গরিমার সবটুকু নিয়ে নিতে চাইছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy