প্রতীকী ছবি
করোনার আগে, গত জানুয়ারিতে কলকাতা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ উড়ান যাতায়াত করত। যাত্রী হত প্রায় ৬২ হাজার। রবিবার কলকাতা থেকে যাতায়াত করেছে দুই শতাধিক উড়ান। যাত্রী হয়েছিল ৩০ হাজারেরও বেশি। দেশের ভিতরে এ বার ৬০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ উড়ান চালানো যাবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
চলতি বছরের শেষ দিকে অভ্যন্তরীণ উড়ানের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিমান পরিবহণ বিশেষজ্ঞেরা। সামনেই দুর্গাপুজো। উৎসবের এই মরসুমেও উড়ান-সংখ্যা বাড়ার কথা। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, “উড়ান বৃদ্ধি নির্ভর করবে যাত্রী-সংখ্যার উপরে। যাঁরা মূলত ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে যাতায়াত করছিলেন, তাঁরা আবার উড়ান ধরতে শুরু করলে তবেই উড়ান চালিয়ে লাভ হবে সংস্থাগুলির। কিন্তু এখনও অনেক জায়গায় বাড়ি থেকে কাজ চলছে। মিটিং হচ্ছে জ়ুম পদ্ধতিতে। বেড়াতে যাওয়াও বন্ধ।”
ট্রাভেল এজেন্টরা জানান, যাঁরা নিয়মিত উড়ানে বেড়াতে যান, তাঁদের একটা বড় অংশ এ বার ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন। ফলে ১০০% উড়ান চালিয়ে দিলেও যাত্রী যদি না-হয়, তা হলে মুশকিল। ধন্দ আছে আন্তর্জাতিক সাধারণ যাত্রী-বিমান চালানোর ক্ষেত্রেও। ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব ভারতের চেয়ারম্যান মানব সোনি বলেন, “ডিসেম্বরের আগে সাধারণ আন্তর্জাতিক যাত্রী-বিমান চালানো মুশকিল। অন্যান্য দেশ কী চায়, তার উপরেও অনেকটা নির্ভর করছে।”
যে-সব দেশ রাজি হয়েছে, এই মুহূর্তে শুধু সেখানেই আন্তর্জাতিক উড়ান চালাচ্ছে ভারত। তার মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, পশ্চিম এশিয়া। একে বলা হচ্ছে ‘বুদবুদ উড়ান’। আরও বেশি দেশ এই উড়ান চালাতে রাজি হলে সাধারণ আন্তর্জাতিক উড়ান চালু করার পথ আরও প্রশস্ত হবে। সিঙ্গাপুর কিন্তু অনড়। সেখান থেকে শুধু আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার জন্য ‘বন্দে ভারত’ উড়ান চলছে।
“বিভিন্ন দেশের দূতাবাস এক-এক করে খুলছে। ভিসাও দিচ্ছে। ফলে অক্টোবর শেষ বা নভেম্বরের গোড়ায় সাধারণ আন্তর্জাতিক যাত্রী উড়ান শুরু হয়ে যেতেই পারে,” বললেন ট্রাভেল এজেন্ট ফেডারেশনের পূর্ব ভারতের চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy