ছবি রয়টার্স।
কোভিড হানায় বিধ্বস্ত ২০২০ সালে ‘সান্তা বুড়োর আসল উপহার’ কি তবে তোলা রইল পরের বছরের প্রথম দিনের জন্য? বুধবার বৈঠক শেষে অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিল কেন্দ্র।
এ দিনই জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য ব্রিটেনে ছাড়পত্র পেয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটিশ-সুইডিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার যৌথ ভাবে তৈরি প্রতিষেধক কোভিশিল্ড। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ইঙ্গিত, এ দেশেও জরুরি ভিত্তিতে প্রতিষেধক প্রয়োগের ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হতে পারে ১ জানুয়ারি। কোভিশিল্ড ছাড়াও যে দৌড়ে রয়েছে আমেরিকার সংস্থা ফাইজ়ার এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি টিকা।
প্রতিষেধক প্রায় এসে গিয়েছে, ভারতে এমন আবহ তৈরি হচ্ছে বেশ কিছু দিন ধরেই। বিমানবন্দরে ভ্যাকসিন রাখার পরিকাঠামো তৈরি থেকে শুরু করে চার রাজ্যে ‘ড্রাই রান’— সরকারি প্রস্তুতির খবর যত সামনে এসেছে, তত আশায় বুক বেঁধেছেন সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় এ দিন ব্রিটেনের ছাড়পত্রের খবরে জল্পনা মাথাচাড়া দেয়। তা জোরালো হয় দুপুরে দিল্লিতে এই সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি বৈঠকে বসার পরে।
আরও পড়ুন: বরফ মাখল শ্রীনগর, শৈত্যপ্রবাহ দিল্লিতে
ভারতে কোনও ওষুধ, প্রতিষেধককে ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) অধীনস্থ স্বাধীন বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ কমিটি। তাদের ছাড়পত্রের ভিত্তিতেই অনুমোদন দেয় ডিসিজিআই। আজ প্রতিষেধক সংক্রান্ত তিনটি সংস্থার আবেদন প্রায় ছ’ঘন্টা বিশ্লেষণ করে ওই কমিটি। রাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংস্থাগুলির কাছ থেকে পাওয়া অতিরিক্ত তথ্যের বিশ্লেষণ জারি থাকছে। চাওয়া হয়েছে নতুন তথ্যও। তার ভিত্তিতে ১ জানুয়ারি ফের বৈঠকে বসবে কমিটি। মন্ত্রকের ইঙ্গিত, সেখানে অন্তত জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য প্রতিষেধককে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে।
করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন (প্রকারভেদ) আতঙ্ক ছড়ানোর পরে আজ কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র দিয়েছে বরিস জনসনের সরকার। এ দেশে তার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ও উৎপাদনের দায়িত্বে রয়েছে পুণের সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট। তারা এ মাসের গোড়ায় এবং গত সপ্তাহে ভারতে টিকার যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সংক্রান্ত তথ্য কমিটির কাছে জমা দিয়েছিল। আজ তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কথা হয়েছে ফাইজ়ার, ভারত বায়োটেকের প্রতিষেধক নিয়েও। সূত্রের খবর, যে তথ্যের ভিত্তিতে ব্রিটেনে কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, আজ বৈঠকে সিরামকে তা জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গেও নতুন স্ট্রেন, উদ্বেগ
ব্রিটেনে ছাড়পত্র পাওয়ার প্রসঙ্গে সিরামের সিইও আদার পুনাওয়ালা বলেন, ‘‘এই খবর অনুপ্রেরণার। এ দেশের কমিটির কাছ থেকেও ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছি।’’
হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের কাছ থেকেও তাদের প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিনের এ দেশে তৃতীয় দফা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তথ্য চেয়েছিল কেন্দ্র। বিকেলে সেই তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে টিকার আবেদন জানিয়েছে ফাইজ়ারও। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি তিন আবেদন নিয়েই আলোচনা হবে।
নতুন বছরের গোড়া থেকেই এ দেশে গণ টিকাকরণ শুরুর লক্ষ্য নিয়েছে মোদী সরকার। প্রথমে লক্ষ্য, ত্রিশ কোটি জন। যার মধ্যে এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মী। দু’কোটি পুরকর্মী, পুলিশ ও আধা সেনা। বাকি ২৭ কোটি মূলত প্রবীণ এবং যাঁদের দীর্ঘ মেয়াদি শারীরিক সমস্যা রয়েছে। ছ’মাসে এই ৩০ কোটি মানুষের টিকাকরণ সেরে ফেলার পক্ষপাতী কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy