Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Kamal Haasan

পুলিশ হাজতে বাবা-ছেলে ‘খুনে’ সিবিআই তদন্ত

প্রসঙ্গত, বাবা-ছেলের মৃত্যুতে শোক জানালেও পুলিশের অত্যাচার নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন পলানীস্বামী। তবে রবিবার এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

ই কে পলানীস্বামী। ছবি সংগৃহীত

ই কে পলানীস্বামী। ছবি সংগৃহীত

সংবাদ সংস্থা
চেন্নাই শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২০ ০৪:৩২
Share: Save:

তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনে পুলিশ হেফাজতে পি জয়রাজ এবং তাঁর ছেলে জে ফেনিক্সের মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী ই কে পলানীস্বামী এবং তাঁর সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন কমল হাসন। পলানীস্বামী এবং তাঁর সরকারকে ‘মুখ্য অভিযুক্ত’ হিসেবে দেগে দিয়েছেন অভিনেতা ।

প্রসঙ্গত, বাবা-ছেলের মৃত্যুতে শোক জানালেও পুলিশের অত্যাচার নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন পলানীস্বামী। তবে রবিবার এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘এই মামলায় আদালত স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করেছে।’’ ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে দুই সাব-ইনস্পেক্টর-সহ চার পুলিশকর্মীকে।

রবিবার জয়রাজ এবং ফেনিক্সের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন কমল এবং রজনীকান্ত। পলানীস্বামী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে কমল বলেন, ‘‘সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী, যাঁরা পুলিশি এই খুনকে অন্ধ ভাবে সমর্থন করছেন, তাঁরাও মুখ্য অভিযুক্ত। অপরাধী, মদতদাতা, মূক দর্শক এবং যারা এই অপরাধকে ঢাকার চেষ্টা করছে, তাদের প্রত্যেকের শাস্তি হওয়া উচিত।’’ অভিনেতা আরও বলেন, ‘‘পুলিশের এই কার্যকলাপ সমর্থন করে সন্ত্রাসকেই মান্যতা দিচ্ছে তামিলনাড়ু সরকার। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী এবং গুজরাতের বিধায়ক জিগ্নেশ মেবাণী।

পুলিশি ‘অত্যাচারে’ নিহত বাবা-ছেলের মৃত্যুর নিন্দা করে দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, করিনা কপূর, তাপসী পন্নু, রীতেশ দেশমুখের মতো তারকারাও।

জয়রাজ ও ফেনিক্স তুতিকোরিনে একটি মোবাইলের দোকান চালাতেন। ১৯ জুন লকডাউনের মধ্যে নির্ধারিত সময়ের থেকে বেশি সময় দোকান খুলে রাখার অভিযোগে বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশকর্মীদের হুমকি এবং গালি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। চার দিন বাদে হাসপাতালে মৃত্যু হয় বাবা-ছেলের। অভিযোগ, পুলিশের মারধরেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। দু’জনের শরীরেই আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। মারধরের পাশাপাশি তাঁদের যৌন নিগ্রহ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে গোটা দেশ জুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে এই ঘটনার সঙ্গে জর্জ ফ্লয়েডের তুলনাও টেনেছেন।

বিরোধী ডিএমকে-র অভিযোগ, পুলিশ বাবা-ছেলেকে পিটিয়ে মেরেছে, কারণ শাসক দল এডিএমকে তাদের আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার দিয়েছে। বিধানসভায় দোষী পুলিশকর্মীদের কড়া শাস্তি দাবি করেছেন ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন। মৃতদের পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের এক জন চাকরি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তামিলনাড়ুরই তিরুলাভেলিতে পুলিশের মারে এক অটোরিক্সাচালকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE