ছবি: পিটিআই।
শ্রম আইন ‘ভঙ্গ’ করায় এনআরসি তৈরির সফটওয়্যারের দায়িত্বে থাকা উইপ্রো সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করল অসম শ্রম দফতর।
২০১৪ সালে এনআরসির টেন্ডারে সাড়া দেয় একমাত্র উইপ্রো। শ্রম কমিশনার নারায়ণ কোঁয়র জানান, এনআরসি দফতর ও উইপ্রোর মধ্যে চুক্তি হয়েছিল প্রত্যেক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বেতন বাবদ তারা ১৪,৫০০ টাকা পাবে। কিন্তু তারা কাজটি স্থানীয় একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়। তারা
আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ করে। এত ধাপ পার করে বাস্তবে ডেটা এন্ট্রি অপারেটরেরা হাতে পাচ্ছিলেন ৫,০৫০ টাকা। ২০১৭ সালে ৮ জন অপারেটর এই বিষয়ে শ্রম দফতরে অভিযোগ জানান। এনআরসি কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলা জানান, উইপ্রোর সঙ্গে নিয়ম মেনে এনআরসি দফতরের চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ীই টাকা উইপ্রোকে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারা কী ভাবে কর্মী আনছে, তাদের কত টাকা দিচ্ছে— তা দেখা এনআরসি দফতরের কাজ নয়।
অভিযোগ, চাপানউতোর চলতে চলতে এনআরসির প্রথম খসড়া, চূড়ান্ত খসড়া ও শেষ তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়ায় রাজ্য সরকার জানিয়েছে, এই এনআরসি মানা যায় না। এ নিয়ে সরকার কাঠগড়ায় তুলেছে স্বয়ং প্রতীক হাজেলাকে। আমলাদের একটি মহলের মতে, হাজেলা বনাম সরকারের এই লড়াইয়ের ফলেই হয়তো এত দিন পরে সরকারের শীর্ষস্তরের ইঙ্গিতে শ্রম কমিশনার কামরূপ আদালতে উইপ্রোর বিরুদ্ধে মামলা করলেন।
তবে সেই ‘অভিযোগ’ খারিজ করে কোঁয়র জানান, শ্রম আইন ভঙ্গ করেছে উইপ্রো। ২০ জনের বেশি ঠিকা শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করে এমন সংস্থা, শ্রমিক নিয়োগকারী সংস্থারা ওই ধারার আওতায় পড়ে। নিতে হয় লেবার লাইসেন্স কন্ট্র্যাক্ট। কিন্তু এনআরসির কাজের ক্ষেত্রে সাত হাজার ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে নিয়োগ করা, অন্য সংগঠনের হাত ঘুরে ঠিকা কর্মীদের নিযুক্ত করার বিষয়ে তেমন কোনও লাইসেন্স নেয়নি উইপ্রো। তবে উইপ্রোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ই-মেল বা এসএমএস পাঠিয়েও এ ব্যাপারে রাত পর্যন্ত তাঁদের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy