নরেন্দ্র মোদী।
হলই বা লোকসভা ভোটের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট! থাকলই বা সেই ভোটের মাত্র ১৮ মাস বাকি! কিন্তু ভোটে জিততে ১ ফেব্রুয়ারির বাজেট ‘জনমোহিনী’ হবে না বলেই দাবি করলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ভোট দেখে কাজের নির্ঘণ্ট তৈরি করেন না তিনি।
বাজেটের মাত্র ১০ দিন আগে এই দাবি করে প্রধানমন্ত্রী নিজের জন্যই চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন। কারণ সংসদে বাজেট পেশ হলেই প্রমাণ হয়ে যাবে, এই দাবি কতখানি সত্যি।
সমালোচকদের বক্তব্য, আদতে জনমোহিনী বাজেট করেও মোদী বলতে পারেন, তিনি উন্নয়নের জন্যই করেছেন। যেমন, গুজরাতের ভোটে গ্রামের কৃষকরা মোদীকে ভোট দেননি। এ বার বাজেটে কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতিতে টাকা ঢেলে মুখে বলবেন, যা করেছি, কৃষির উন্নয়নে করেছি।
কৃষিক্ষেত্রের দুর্দশা আজ মোদী মেনেও নিয়েছেন। একটি টিভি চ্যানেলে বিরোধীদের সব অভিযোগ ওড়ালেও কৃষক দুরবস্থা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এই সমালোচনা সত্যি। দেশের দায়িত্ব, কেন্দ্র ও সব রাজ্য সরকারের দায়িত্ব, নরেন্দ্র মোদীর দায়িত্ব এই সমস্যা বুঝে তার সমাধান করা।’’
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্সির টান কমছে, উদ্বিগ্ন শঙ্খবাবু
মোদীকে প্রশ্ন করা হয়, দলকে ভোটে জেতাতে বাজেটে ‘পপুলিজম’ করবেন কি না? মোদী বলেন, ‘‘যাঁরা আমাকে মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখেছেন, তাঁরা জানেন। আমজনতা এই সবের জন্য ক্ষুধার্ত নয়। তাঁরা সততার সঙ্গে, নিজের অধিকারটুকুই দাবি করে।’’
মোদীর বিরুদ্ধে সব থেকে বড় অভিযোগ, বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণে চূড়ান্ত ব্যর্থতা। মোদীর দাবি, সব মিথ্যে প্রচার। যুক্তি হিসেবে ইপিএফ-এর গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধিকে হাতিয়ার করে তাঁর প্রশ্ন, এক বছরে ১৮-২৫ বছর বয়সিদের মধ্যে ৭০ লক্ষ পিএফ-এর খাতা খুলেছে।
অর্থনীতিবিদদের যুক্তি, আগে যাঁরা পিএফ পেতেন না, এখন তাঁরাও পাচ্ছেন। কারণ ২০ জনের বদলে ১০ জন কর্মীর সংস্থাতেও প্রভিডেন্ট ফান্ড দেওয়ার নিয়ম হয়েছে। আগে পিএফ জমা না দেওয়া সংস্থাগুলিকে ফের পিএফ চালু করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আর ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী কর্মীই এখন সিংহভাগ। তাই তাঁদের মধ্যে পিএফ-এর খাতার সংখ্যাও বেশি। মোদীর প্রশ্ন, সড়ক, রেল, বৈদ্যুতিকরণের কাজ দ্বিগুণ গতিতে চলছে। ফলে কাজের সুযোগও বেড়েছে। যদিও এ নিয়ে কোনও তথ্য বা পরিসংখ্যান দিতে পারেননি তিনি।
মনমোহন-জমানার সঙ্গে অর্থনীতির অন্য মাপকাঠির তুলনা টানলেও বৃদ্ধির হার যে আগের তুলনায় কম, সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। নোট বাতিল-জিএসটি-র ধাক্কায় বৃদ্ধি কমলেও মোদীর যুক্তি, দু’টি ক্ষেত্রেই মানুষের শংসাপত্র এবং সমর্থন তিনি পেয়েছেন। ভোটের কষ্টিপাথরে তা যাচাইও হয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy