প্রতীকী ছবি।
অরুণ জেটলির ঘোষণা করা নতুন স্বাস্থ্যবিমা ঘিরে জল্পনা তীব্র হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের পরিমাণ দেখে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে ৫৩ হাজার ১৯১ কোটি টাকা স্বাস্থ্য খাতে খরচ হয়েছে। আগামী অর্থবর্ষে বরাদ্দ হয়েছে ৫৪ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা। চিকিৎসকদের একাংশের প্রশ্ন, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ না বাড়িয়ে স্বাস্থ্যবিমাতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তা হলে কি পরিকাঠামো উন্নতিতে কোপ পড়বে?
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের কটাক্ষ, ‘‘পরিবার-পিছু বছরে ৫০ হাজার টাকার সুবিধা নিলেও বছরে ৫ লক্ষ কোটি টাকা দরকার। পরিবার-পিছু ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা প্রিমিয়ামের দায় নিতে হলে, বছরে ৫০ হাজার থেকে দেড় লক্ষ কোটি টাকা দরকার। অর্থমন্ত্রী রসিকতা করছেন না তো?’’ অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের অবশ্য বক্তব্য, নতুন প্রকল্পের খুঁটিনাটি ঠিক করে তা চালু করতে করতে ছ’মাস গড়িয়ে যাবে। তাই বরাদ্দ রাখা হয়েছে পরের ছ’মাসের জন্য। বিপুলসংখ্যক লোক যে হেতু এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন, তাই বিমার প্রিমিয়ামের পরিমাণও কম হবে বলে তাঁদের দাবি।
সরকার যদি খানিক দূর পর্যন্তও নয়া প্রকল্প কার্যকর ভাবে চালু করতে পারে, তা হলে গরিব মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় বড়সড় পরিবর্তন আসবে, মত চিকিৎসকদের। প্রকল্পের হাত ধরে গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ হবে বলে তাঁদের আশা। চিকিৎসক কুণাল সরকার বলেন, ‘‘শেষ বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের বরাদ্দ পর্যাপ্ত ছিল না। এ বার স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’’ তবে তাঁর মতে, সার্বিক পরিকাঠামো উন্নতিতে আরও স্পষ্ট স্বাস্থ্যনীতি দরকার।
প্রবীণ নাগরিকদের ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম বা চিকিৎসার খরচের উপর কর ছাড়ের ঘোষণাকে স্বাগত জানান সাধারণ বিমা বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, এতে বাড়বে স্বাস্থ্য পরিষেবা শিল্প। বেসরকারি বিমা কোম্পানির এমডি ও সিইও, তপন সিঙ্ঘল বলেন, ‘‘বিমা সংস্থা ছাড়াও হাসপাতালগুলির ব্যবসা দ্রুত বাড়ার পথ তৈরি হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy