বদায়ুঁর জোড়া খুনের ঘটনার অন্য অভিযুক্ত জাভেদ। ছবি এক্স (সাবেক টুইটার)
উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁর জোড়া খুনের ঘটনায় পুলিশের এফআইআরে নাম থাকা জাভেদ আত্মসমর্পণ করেন। তবে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার আগে তাঁর একটি ভিডিয়ো করেন স্থানীয়েরা। সেই ভিডিয়োতে জাভেদকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি নির্দোষ। আমি কিছু করিনি।’’
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বদায়ুঁতে প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে তাঁদের দুই ছেলেকে খুন করার অভিযোগ ওঠে সাজিদ মহম্মদ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, বদায়ুঁর বাবা কলোনি এলাকায় একটি সালোঁর মালিক ছিলেন সাজিদ। ঘটনার সময় বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছিলেন সাজিদের ভাই জাভেদ। দু’জনেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে জঙ্গলে আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে পুলিশ যখন সেখানে পৌঁছয় তখন দুই পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয় সাজিদের। গুলি লাগে জাভেদেরও। কিন্তু তিনি পালিয়ে যান। প্রায় ২৪ ঘণ্টা লুকিয়ে থাকার পর বুধবার রাতে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন সাজিদের ভাই।
জাভেদের দাবি, তিনি ঘটনার পরই ভয়ে দিল্লিতে পালিয়ে যান। তবে বুধবার যখন তিনি বরেলিতে আসেন, তখনই স্থানীয়েরা তাঁকে ধরে ফেলেন। জাভেদকে মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জাভেদকে ধরার পর তাঁর একটি ভিডিয়ো করা হয়। সেই ভিডিয়োতে জাভেদ দাবি করেছেন, ‘‘দিল্লি থেকে আমি আত্মসমর্পণ করতেই এসেছি। আমার দাদা করেছে (জোড়া খুন)। আমি কিছু করিনি। দয়া করে আমাকে পুলিশের হাতে তুলে দিন।’’ যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
বৃহস্পতিবার জাভেদের গ্রেফতারির খবর নিশ্চিত করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এসপি অলোক প্রিয়দর্শী বলেন, ‘‘জোড়া খুনের ঘটনার দ্বিতীয় অভিযুক্ত বরেলিতে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বদায়ুঁতে আনা হচ্ছে।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর সালোঁর ঠিক বিপরীতে বিনোদ ঠাকুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন সাজিদ। বিনোদ এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। বিনোদের বাড়িতে গিয়ে চা পান করতে চান সাজিদ। সেই সময় বিনোদের তিন নাবালক পুত্র ছাদে খেলা করছিল। তাদের সঙ্গে দেখা করার নাম করে সোজা ছাদে চলে যান সাজিদ। পুলিশের দাবি, ছাদে গিয়ে ধারালো অস্ত্র চালিয়ে বিনোদের ১৩ বছর এবং ছ’বছর বয়সি দুই পুত্রকে খুন করেন। অভিযোগ, বিনোদের আট বছর বয়সি পুত্রের উপরেও আক্রমণ করেন সাজিদ। তার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। রাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলি লেগে মৃত্যু হয় তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy