প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অসম সফরের আগে একের পর হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। শনিবার তিনসুকিয়ার ডুমডুমায় গ্রেনেড বিস্ফোরণের পর গত কাল সন্ধেয় ডিব্রুগড়ে একটি ম্যাটাডরে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আজ সকালেও বিস্ফোরক উদ্ধার হল দূরপাল্লার একটি ট্রেনে। এ সবে ঘুম উড়েছে রাজ্য পুলিশের। এনআইএ সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর গুয়াহাটি সফর বানচাল করতে আলফা জঙ্গিরা গুয়াহাটিতে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা খবর পেয়েছিলেন। গত শনিবার এ নিয়ে অসম পুলিশ ও রেল কর্তৃপক্ষকেও সতর্ক করা হয়েছিল।
আগামী ২৯ ও ৩০ নভেম্বর অসমে থাকবেন মোদী। গুয়াহাটিতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ও অন্য অনুষ্ঠানের জায়গার নিরাপত্তা নিশ্চিদ্র করতে তৎপর প্রশাসন। ওই একই সময় একটি সম্মেলনের জন্য গুয়াহাটিতে থাকবেন গোটা দেশের ডিজিপিরাও।
কঠোর সেই নিরপত্তার দিকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছে জঙ্গিরা। এ দিন সকালে আলিপুরদুয়ার থেকে কামাখ্যায় পৌঁছনো ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের একটি কামরায় বিস্ফোরক পাওয়া যায়। তাতে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলেন অনেকেই। রেল পুলিশ জানায়, ইঞ্জিনের পর চার নম্বর কামরার শৌচালয়ের সামনে একটি ব্যাগ ছিল। যাত্রীরা রেল পুলিশকে সতর্ক করেন। কেন্দুকোনা স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ব্যাগটি নামিয়ে নেয় প্ল্যাটফর্মে। স্নিফার কুকুর গোটা ট্রেনে তল্লাশি চালানো হয়। দু’ঘণ্টা পর গুয়াহাটি রওনা দেয় ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস।
সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষার পর জানান, ওই ব্যাগে আইইডি রয়েছে। সেটিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়। পুলিশের সন্দেহ, ট্রেনটি গুয়াহাটি স্টেশন পৌঁছানোর পর সম্ভবত বিস্ফোরণ ঘটত। না হলে ডিজিপি সম্মেলনের সময় বোমা ফাটিয়ে নাশকতা ছড়ানোর ছক ছিল জঙ্গিদের। পুলিশের সন্দেহের তির আলফা (স্বাধীন) ও কেএলও’র দিকে। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বলেন, “বাইরের শত্রুর প্ররোচনায় আলফা স্বাধীন সন্ত্রাস ছড়াতে চাইছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy