ছোটা রাজন। —ফাইল চিত্র।
২০০১ সালের খুনের এক মামলায় ডন দাউদ ইব্রাহিমের প্রাক্তন সঙ্গী রাজেন্দ্র সদাশিব নিকালজি ওরফে ছোটা রাজনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা শুনিয়েছিল মহারাষ্ট্রের এক আদালত। বুধবার সেই মামলাতেই রাজনের সাজার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে জামিন দিল বম্বে হাই কোর্ট।
বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি রেবতী মোহিতে দেড়ে এবং বিচারপতি পৃথ্বীরাজ চবনের বেঞ্চ দাউদের প্রাক্তন সঙ্গীর জামিন মঞ্জুর করেছে। এক লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে রাজনকে জামিন দিল আদালত। তবে জামিন পেলেও জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি। অন্য মামলায় তাঁকে এখনও জেল খাটতে হবে।
উল্লেখ্য, দাউদের দাবি করা ‘তোলা’ দিতে রাজি ছিলেন না মুম্বইয়ের হোটেল ব্যবসায়ী জয়া শেট্টি। তাঁকে খুন হতে হয়। অভিযোগ, হোটেল ব্যবসায়ী খুনে জড়িত ছিলেন রাজন। ২০০১ সালের সেই মামলায় চলতি বছরের মে মাসে তাঁকে সাজা শোনায় ‘মকোকা’ (মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অব অর্গানাইজ়ড ক্রাইম অ্যাক্ট) আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন রাজন।
সত্তরের দশকে মুম্বইয়ে সিনেমার টিকিট ব্ল্যাক করা দিয়ে অপরাধ জগতে হাতেখড়ি রাজনের। সেখান থেকে ‘ডি কোম্পানি’র স্তম্ভ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে দাউদের ‘এক নম্বর শত্রু’ও হয়ে যান। তাইল্যান্ডে প্রাণঘাতী হামলা থেকে ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছিলেন। ইন্টারপোলের খাতায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ হয়ে ছিলেন টানা দু’দশক! সিডনি পুলিশ জানিয়েছে, টানা ১৫ বছর অস্ট্রেলিয়াতেই গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন রাজন। ২০১৫-র অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে গ্রেফতারের সময় তাঁর ছদ্ম-পরিচয় ছিল, ‘মোহন কুমার’। প্রত্যর্পণের মাধ্যমে তাঁকে হাতে পেয়েছিল ভারত। সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি হয় তাঁর। সেই মামলায় বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy