বুধবার সকালে ওয়েনাড়ের উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। ছবি: পিটিআই।
রাজনীতিতে অভিষেক ঘটেছিল অনেক দিন আগেই। বহু নির্বাচনী প্রচারেই তাঁকে দেখা গিয়েছে। কিন্তু আগে কখনও নির্বাচনে লড়েননি। বুধবার কেরলের ওয়েনাড় লোকসভার উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে নেমে পড়লেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। সঙ্গে ছিলেন মা সনিয়া গান্ধী, দাদা রাহুল। গিয়েছিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেও।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে একটি ‘রোড শো’ করেন প্রিয়ঙ্কা। সঙ্গে ছিলেন ওয়েনাড়ের প্রাক্তন সাংসদ রাহুল। মঙ্গলবারই ওয়েনাড়ে পৌঁছেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সঙ্গে ছিলেন সনিয়াও। মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা।
এ বারের লোকসভা ভোটে ওয়েনাড় এবং উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী থেকে লড়েছিলেন রাহুল। দু’টি কেন্দ্রেই দাদার প্রচারে অংশ নেন প্রিয়ঙ্কা। লোকসভা ভোটে দু’টি আসন থেকেই সাড়ে তিন লক্ষের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন রাহুল। এর পর গত ১৭ জুন রায়বরেলী ধরে রেখে ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে জানিয়েছিলেন, প্রিয়ঙ্কা ওই আসনে উপনির্বাচনে লড়বেন। উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পরেই কংগ্রেসের তরফে ওয়েনাড়ে প্রার্থী হিসাবে প্রিয়ঙ্কার নাম জানানো হয়।
এ বার ওয়েনাড়ে প্রিয়ঙ্কার মূল লড়াই প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিআইয়ের রাজ্য সহ-সম্পাদক সত্যন মোকেরি এবং বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নব্যা হরিদাসের বিরুদ্ধে। নব্যা কোঝিকোড় পুরসভার ভোটে দু’বার জয়ী হয়েছেন। গত এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচনে ওয়েনাড়ে রাহুলের বিরুদ্ধে সিপিআইয়ের প্রার্থী ছিলেন দলের জাতীয় স্তরের নেত্রী অ্যানি রাজা। তিনি সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী। উল্লেখ্য, রাহুলের ছেড়ে দেওয়া ওয়েনাড় কেন্দ্রে আগামী ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচন হবে। গণনা আগামী ২৩ নভেম্বর। মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন এবং ১৫ রাজ্যের মোট দু’টি লোকসভা ও ৪৮টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের গণনাও হবে ওই দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy