Advertisement
E-Paper

COVID Horror: পরিবার জানে সৎকার হয়ে গিয়েছে, মর্গে দেড় বছর ধরে পচছে কোভিডে মৃতদের দেহ

মৃত্যুর পর প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি মৃতের আত্মীয়দের ফোনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দেহ সৎকার হয়নি, পড়ে রয়েছে মর্গে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২১ ০৯:৫৫
Share
Save

কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর পর রোগীর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার বদলে নিজেরাই সৎকার করেছে প্রশাসন। অতিমারি পর্বে দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই ঘটেছে এই ঘটনা।কোভিডে মৃত্যুর প্রায় দেড় বছর পর এক পরিবার জানতে পেরেছে, তাঁদের পরিজনের দেহ তো সৎকার হয়ইনি, উল্টে তা হাসপাতালের মর্গে পচছে। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে।

গত বছর জুলাই মাসে ৪০ বছরের দুর্গা সুমিতা এবং ৫০ বছরের মণিরাজু কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সে সময় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি থাকায় হাসপাতালে মিলছিল না শয্যা। অনেক হাসপাতাল ঘোরার পর তাঁরা ভর্তি হয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর রাজাজিনগরে অবস্থিত ইএসআই হাসপাতালে। দিন কয়েক চিকিৎসা চলার পর সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁদের।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সে সময় ব্রুহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা (বিবিএমপি) এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃতদের দেহ তাঁদের দেয়নি বলে জানান দুর্গার পরিবারের লোকেরা। কোভিড সংক্রমণের ভয় থাকায় দেহ সৎকার করে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল হাসপাতালের তরফে।

এই ঘটনার পর প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি দুর্গার আত্মীয়রা ফোন পেয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। সেখানে তখন জানানো হয়েছে দুর্গা এবং মণিরাজুর দেহ সৎকার হয়নি। মৃত্যুর পর থেকে তা মর্গেই রয়েছে। দুর্গার বোন সুজাতা বলেছেন, ‘‘গত বছর দুর্গার কোভিড হয়েছিল। আমরা অনেক খুঁজেও হাসপাতাল খালি পাইনি। কেবলমাত্র ইএসআই হাসপাতালে খালি শয্যা ছিল। সেখানে ভর্তির চার দিন পর মৃত্যু হয় তাঁর।’’ এর পর তিনি বলেছেন, ‘‘কোভিডে মৃত্যু হওয়ায় আমাদের দেহ দেওয়া হয়নি। বিবিএমপি-র তরফে তখন আমরা ফোন পেয়েছিলাম। বলা হয়েছিল দেহের সৎকার হয়ে গিয়েছে। তিন দিন আগে ফোনে আমাদের জানানো হয়, দেহ মর্গে রয়েছে এবং তা পচে যাচ্ছে। আমার ভয় করছে। বুঝতে পারছি না এটা ঠিক না ভুল।’’ মণিরাজুর ছেলে সতীশও ফোন পেয়ে চমকে গিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।

bengaluru esi hospital Covid Death Coronavirus Pandemic bizarre

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}