জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটে দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, ফারুক আবদুল্লা এবং তাঁর পুত্র ওমরের দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হতে চলেছে বলে জল্পনা দানা বাঁধল। ঘটনাচক্রে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের শ্রীনগর সফরের মধ্যেই।
কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ফারুকের দলের কাছে কাশ্মীর উপত্যকার ১২টি বিধানসভা আসন চেয়েছে কংগ্রেস। বিনিময়ে ছাড়া হবে জম্মুর ১২টি আসন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভার মোট আসন ৯০। তার মধ্যে কাশ্মীর উপত্যকায় রয়েছে ৪৭টি। সেখানে ন্যাশনাল কনফারেন্স শক্তিশালী। অন্য দিকে, জম্মুতে রয়েছে ৪৩টি বিধানসভা। সেখানে কংগ্রেসের সাংগঠনিক ক্ষমতা তুলনামূলক বেশি। বুধবার শ্রীনগরে রাহুল বিধানসভা ভোটে সম মনোভাবাপন্ন দলের সঙ্গে সমঝোতার ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘‘আমাদের জোট ‘ইন্ডিয়া’ প্রধান লক্ষ্য, জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া।
আরও পড়ুন:
জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট হবে তিন দফায়— ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর। গণনা ৪ অক্টোবর। বুধবার রাতে প্রাক্ নির্বাচনী জোট, প্রার্থী বাছাই এবং প্রচার কৌশল নিয়ে আলোচনার জন্য শ্রীনগরে পৌঁছেছেন রাহুল ও খড়্গে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাঁরা কাশ্মীর উপত্যকার ১০টি জেলার কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক শুরু করেছেন। দু’দিনের সফরে এর পরে জম্মু যাবেন তাঁরা। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, উপত্যকার কংগ্রেস নেতাদের একাংশ ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে জোট চাইলেও অন্য অংশ একক শক্তিতে বিধানসভা ভোটে লড়তে চান।
আরও পড়ুন:
কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চে থাকলেও এখনও জম্মু-কাশ্মীরের ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রথমে জোট হবে না বলেই জানিয়েছিলেন ফারুক। ‘বিকল্প’ হিসাবে ‘ইন্ডিয়া’র আর এক শরিক পিডিপির সভানেত্রী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবার সঙ্গে রফা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন কংগ্রেসের প্রদেশ ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু সম্প্রতি পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। রাহুল-খড়্গের সফরের আগে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল এবং জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তারিখ হামিদ কার্রা জোটের পক্ষে প্রকাশ্যে সওয়াল করেছেন।