ভি নারায়ণস্বামীর কংগ্রেস সরকারের পড়ে গিয়েছে পুদুচেরিতে।
মেরেকেটে আর মাস তিনেক বাকি নির্বাচনে। তার আগে আর পুদুচেরিতে সরকার গড়ার দাবি জানাবে না বিজেপি। বরং সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার পক্ষে তারা। উপরাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরারাজন রাষ্ট্রপতি শাসনের জন্য ইতিমধ্যে সুপারিশও জানিয়েছেন। সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা।
একের পর এক বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় সোমবার পুদুচেরিতে কংগ্রেস এবং ডিএমকে-র সরকার পড়ে যায়। বিধানসভায় আস্থাভোটে পরাজিত হন ভি নারায়ণস্বামী। তার পরই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। মঙ্গলবার নারায়ণস্বামী এবং তাঁর মন্ত্রীদের ইস্তফা গ্রহণ করেন রামনাথ কোবিন্দ।
তবে সরকার পতনের জন্য বিজেপি-কেই দুষছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, কংগ্রেসের সরকার ফেলে দিতে এনআর কংগ্রেসের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি। মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে একের পর এক বিধায়ক ভাঙিয়ে নিয়েছে। এমনকি, প্রাক্তন উপরাজ্যপাল কিরণ বেদীও সেই ষড়যন্ত্রে শামিল ছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছে তারা।
বিজেপি যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পুদুচেরি সফর কংগ্রেসের সরকার পতনে বিজেপিযোগের জল্পনা আরও বাড়িয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, মোদীর হাত ধরেই পুদুচেরিতে নির্বাচনী প্রচার শুরু করছে বিজেপি। মোদীর সফরেরর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি পুদুচেরি যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, পুদুচেরিতে এনআর কংগ্রেস এবং আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মিম প্রধান বিরোধী দল হলেও, কংগ্রেসের সরকার পতনে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে তাদের জোটসঙ্গী বিজেপি। কারণ কংগ্রেসত্যাগী ৩ বিধায়ক ইতিমধ্যেই ইতিমধ্যেই বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। বাকিরাও সেই পথেই এগোচ্ছেন। শুধু তাই নয় কিরণ এবং নারায়ণস্বামী সরকারের টানাপড়েন নিয়ে জনমানসে গেরুয়া শিবিরের যে ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল, তা পুনর্নির্মাণেও নেমে পড়েছে বিজেপি। যে কারণে কিরণ অপসারিত হওয়ার পরই দক্ষিণী সৌন্দরারাজনকে উপরাজ্যপাল পদে বসিয়ে সাধারণ মানুষের মন জয়ে নেমে পড়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy