বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে তদন্তকারীরা। —ফাইল চিত্র।
নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ১ বাংলাদেশি নাগরিক। ধৃতের নাম শেখ নাসিম। বিস্ফোরণের কয়েক দিন আগে থেকে স্টেশন চত্বরে তিনি ঘোরাঘুরি করছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, ঘোরাঘুরির নামে আসলে স্টেশন চত্বরের নিরাপত্তা মেপে নিচ্ছিলেন নাসিম। তাঁকে জেরা করছে সিআইডি। কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাঁর যোগ ছিল কি না জানার চেষ্টা চলছে।
জানা গিয়েছে, নিমতিতা স্টেশনের বাইরে হকার ছিলেন নাসিম। সেই সূত্রে স্টেশনের আটঘাট জানা ছিল তাঁর। তবে তিনি একা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন কি না, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। আর যদিও বা ঘটিয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে স্থানীয় লোকজন তো দূর, রেল পুলিশের নজরও এড়িয়ে প্ল্যাটফর্মের উপর তিনি বোমাভর্তি ব্যাগ কী ভাবে রেখে এলেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। জেরায় পুলিশকে নাসিম কী বয়ান দেয়, সে দিকেই এখন নজর সকলের। জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে বুধবারই সাংবাদিক বৈঠক করবেন সিআইডি-র আধিকারিকরা।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে কলকাতা আসার জন্য নিমতিতা স্টেশনে ট্রেন ধরতে গিয়েছিলেন রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। সেই সময় ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে রাখা কালো একটি ব্যাগ সরাতে গিয়েই বিপত্তি বাধে। তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা স্টেশন চত্বর। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ছিটকে যান জাকির এবং তাঁর ১৪ জন অনুগামী। জাকিরের হাতের একটি আঙুল এবং বাঁ পা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে নাসিবুল শেখ নামে এক যুবক হাত ও পা হারিয়েছেন। বাকিরাও গুরুতর জখম হয়েছেন।
জাকিরকে খুন করতেই পরিকল্পনামাফিক বিস্ফোরণ ঘটানো হয় কি না, সেই নিয়ে গত ১ সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক তরজা চলে আসছে। স্টেশন চত্বরের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য না কেন্দ্রের, তা নিয়েও চলছে টানাপড়েন। তবে এই ঘটনায় বাংলাদেশের জঙ্গিযোগ রয়েছে বলে শুরু থেকেই অনুমান করছিলেন গোয়েন্দারা। বিস্ফোরণের পর দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। তা থেকে জানা যায়, শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটানোই লক্ষ্য ছিল দুষ্কৃতীদের। কারণ বোমায় মশলা এবং স্প্লিন্টারের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি ছিল। রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy