কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়ে গিয়েছেন সদ্যনির্বাচিত দুই সাংসদ। এই পরিস্থিতিতে ওড়িশায় পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে রয়েছেন পাঁচ বিজেপি নেতা। তাঁদের মধ্যে তিন জনের নাম নিয়েই আলোচনা চলছে বেশি।
এক সপ্তাহ আগে ভোটগণনায় ওড়িশায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও এখনও সে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করতে পারেনি বিজেপি। দলের দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক, রাজনাথ সিংহ এবং ভূপেন্দ্র যাদবের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার নবনির্বাচিত বিজেপি বিধায়কদের বৈঠক হবে। সেখানেই নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হতে পারে।
আরও পড়ুন:
রবিবার ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং জুয়েল ওরাওঁ রাষ্ট্রপতি ভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ওড়িশার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র, রাজ্য সভাপতি মনমোহন শামল এবং বিধায়ক সুরেশ পূজারির নাম রয়েছে জল্পনার কেন্দ্রে। সম্বিত এ বার পুরী লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। কিন্তু শামল চাঁদবালি বিধানসভা কেন্দ্রে হেরে গিয়েছেন বিজেডি প্রার্থীর কাছে।
এখানেই বরগড়ের বিদায়ী সাংসদ তথা ব্রজরাজনগরের সদ্যনির্বাচিত বিধায়ক সুরেশ এগিয়ে রয়েছেন বলে দলের একাংশ মনে করছেন। ওড়িশা রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে পরিচিত ‘পিডিএস (পণ্ডা-দেও-সারঙ্গি) ফ্যাক্টর’-এর কথা মাথায় রেখে বিজেডি প্রধান নবীন পট্টনায়েকের প্রাক্তন ‘ডানহাত’ বৈজয়ন্ত (জয়) পণ্ডার নামও বিজেপি হাইকমান্ডের বিবেচনায় রয়েছে বলে ‘খবর’। এ ছাড়া রয়েছে ওড়িশা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি কেভি সিংহদেওর নাম। তিনি ১৯৯৫ থেকে টানা পাঁচ বার বোলাঙ্গিরের পটনাগড় কেন্দ্রের বিধায়ক।
লোকসভার পাশাপাশি এ বার ওড়িশায় ওড়িশায় বিধানসভা ভোটও হয়েছিল। সে রাজ্যের ২১টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২০টি গিয়েছে ‘পদ্মে’র ঝুলিতে। নবীনের বিজেডি শূন্য! কংগ্রেস একটি আসনে জিতেছে। পাশাপাশি, ১৪৭ আসনের ওড়িশা বিধানসভায় ৭৮টিতে জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে পদ্ম। বিজেডি ৫১ এবং কংগ্রেস ১৪টিতে জিতেছে। অন্যেরা চারটিতে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ঘোষিত হতে পারে ওড়িশায় প্রথম বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর নাম।