রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
রাবণের ছবি। কিন্তু দশটি মাথায় রাহুল গান্ধীর দশটি মুখ। রাহুলকে ‘নতুন যুগের রাবণ’ আখ্যা দিয়ে আজ বিজেপি এই ছবি নিয়ে সমাজমাধ্যমে প্রচারে নামল। তাদের বক্তব্য, ‘এই নতুন যুগের রাবণ দুষ্ট। তিনি ধর্মের বিরোধী। রামের বিরোধী। লক্ষ্য, ভারতকে ধ্বংস করা।’
অতীতে বিজেপি রাহুলকে ‘পাপ্পু’ সাজিয়ে আক্রমণ করেছে। এ বার তাঁকে ‘রাবণ’ বলার পাশাপশি রাহুল আমেরিকার ধনকুবের জর্জ সোরোসের মদতে কাজ করছেন বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সোরোস নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করে তাঁর সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বিজেপি রাহুলকে রাবণ সাজিয়ে বলেছে, এটি কংগ্রেসের প্রযোজনা, জর্জ সোরোসের নির্দেশনা।
কংগ্রেস মনে করিয়ে দিয়েছে, ১৯৪৫-এ মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের সম্পাদিত পত্রিকা ‘অগ্রণী’-তে প্রকাশিত ব্যঙ্গচিত্রে ঠিক এই ভাবেই গান্ধীকে রাবণ সাজানো হয়েছিল। সেখানে রাবণের শরীর ছিল গান্ধীর। দশ মাথার অন্য মাথাগুলি ছিল জওহরলাল নেহরু, সুভাষচন্দ্র বসু, সর্দার বল্লভভাই পটেল, মৌলানা আবুল কালাম আজ়াদদের। আর দেখানো হয়েছিল, রাম-লক্ষ্মণের কায়দায় বিনায়ক দামোদর সাভারকর ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রাবণ-রূপী গান্ধীকে তির ছুড়ছেন। কংগ্রেসের বক্তব্য, এখন নিজেকে সেই গান্ধী, পটেল, সুভাষচন্দ্রের উত্তরাধিকারের ধারক-বাহক হিসেবে তুলে ধরতে চান মোদী। এ বারও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে। কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশের বক্তব্য, ‘‘রাহুল গান্ধীকে রাবণ হিসেবে দেখানো বিজেপির পোস্টারের আসল উদ্দেশ্য হিংসায় উস্কানি দেওয়া। দলকে দিয়ে এই রকম বিদ্বেষমূলক আক্রমণ করা মানা যায় না।’’ মোদী ও বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডার উদ্দেশে রাহুলের বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘আপনারা রাজনীতি ও বিতর্ককে আর কত নীচে নিয়ে যেতে চান? দলের সরকারি হ্যান্ডল থেকে যে হিংস্র ও উস্কানিমূলক টুইট (পোস্ট) করা হচ্ছে, তার সঙ্গে কি আপনারা একমত?’
রাহুল পাল্টা জবাব দেননি। তবে তিনি বিজেপি জোট-শাসিত মহারাষ্ট্রের নান্দেড়ে ওষুধ ও স্যালাইনের অভাবে ২৪টি শিশুর মৃত্যু নিয়ে মোদীর দিকে আঙুল তুলেছেন। কংগ্রেস আগেই অভিযোগ তুলেছিল, ‘কাটমানি’-র লোভে সরকারি হাসপাতালে ওষুধ ও স্যালাইন সরবরাহকারী বদলে দিয়েছিল মহারাষ্ট্রের বিজেপি-একনাথ শিন্দের সরকার। তার পরেই ওষুধের অভাব দেখা দেয়। আজ এক সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদের ভিডিয়ো তুলে ধরে রাহুল বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীজি, আপনি আপনার দোষের সাজা সব সময়ে গরিবদের কেন দেন?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy