Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

ভাগের আশঙ্কা, উড়িয়ে দিচ্ছেন সাংসদ

রেল সূত্রের খবর, গত আর্থিক বছরে আদ্রা ডিভিশন যাত্রী পরিবহণে আয় করেছে প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। পণ্য পরিবহণে আদ্রার লাভ হয়েছে ২,৫২৭ কোটি টাকা। অন্য বছরগুলির তুলনায় গত আর্থিক বছরে কয়েক শতাংশ বেশি লাভ করেছে আদ্রা ডিভিশন।

আদ্রা স্টেশন। —ফাইল ছবি

আদ্রা স্টেশন। —ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবদদাতা
আদ্রা শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৫৪
Share: Save:

দক্ষিণ-পূর্ব রেলকে ভেঙে একটা অংশ নিয়ে রাঁচীতে আলাদা জ়োন তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপির সাংসদেরা। আর তাতেই ফের আদ্রা ডিভিশনকে ভাঙা হবে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে আদ্রার রেলকর্মীদের মধ্যে। দক্ষিণ-পূর্ব জ়োনকে কোনও ভাবেই ভাঙা চলবে না— এই দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে রেল কর্মী সংগঠনগুলি। মঙ্গল ও বুধবার— পরপর দু’দিন আদ্রা ডিভিশনের দুই রেলকর্মী সংগঠন ‘মেনস কংগ্রেস’ ও ‘মেনস ইউনিয়ন’ ধর্না অবস্থান করে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আদ্রা ডিভিশনকে ভাঙার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে স্মারকলিপি দিয়েছে। সংগঠন দু’টির নেতাদের আশঙ্কা, রাঁচী জ়োন তৈরি হলে ঝাড়খণ্ডে থাকা আদ্রা ডিভিশনের একাংশকে সেই জ়োনের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হতে পারে। তবে আদ্রার রেল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, নতুন জোন তৈরি ও তাতে আদ্রা ডিভিশনের একাংশকে অন্তর্ভূক্ত করার কোনও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে তাঁদের জানা নেই। সংগঠন দু’টির দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানাচ্ছেন ডিআরএম (আদ্রা) নবীন কুমার।
গত মাসেই ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদেরা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের একাংশ নিয়ে নতুন রাঁচী জ়োন তৈরি করার বিষয়ে রেলকে প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই জ়োনের সদর দফতর রাঁচীতে করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার পরেই আদ্রা ডিভিশনকে কোনও ভাবে দক্ষিণ-পূর্ব রেল থেকে সরিয়ে দেওয়া চলবে না— এই দাবিতে সরব হয়েছে রেল কর্মীদের বড় দু’টি সংগঠন।
রেল সূত্রের খবর, গত আর্থিক বছরে আদ্রা ডিভিশন যাত্রী পরিবহণে আয় করেছে প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। পণ্য পরিবহণে আদ্রার লাভ হয়েছে ২,৫২৭ কোটি টাকা। অন্য বছরগুলির তুলনায় গত আর্থিক বছরে কয়েক শতাংশ বেশি লাভ করেছে আদ্রা ডিভিশন। সেই প্রসঙ্গ তুলেই মেনস কংগ্রেসের সুব্রতবাবুর অভিযোগ, ‘‘বিজেপির সাংসদেরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই এই প্রস্তাব দিয়েছেন।” তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই পাল্টা দাবি করেছেন বাঁকুড়ার বিজেপির সাংসদ সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, ‘‘নিছকই হাওয়া গরম করা ও প্রচার পাওয়ার জন্য এই ধরনের কথা বলছে রেলকর্মী সংগঠনগুলি।” সুভাষবাবু জানাচ্ছেন, সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জিএম-এর সঙ্গে তাঁদের জঙ্গলমহলের এলাকার সাংসদদের দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সেখানে এই প্রসঙ্গ ওঠেইনি। তিনি বলেন, ‘‘দক্ষিণ-পূর্ব রেলকে ভাঙা হলে আমাদের সাংসদেরাই তার বিরোধিতা করবেন।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy