—প্রতীকী চিত্র।
আগামী মাসের প্রথম দিন থেকে দেশ জুড়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নামছে বিজেপি। প্রায় তিন বছর বাদে নতুন করে সদস্য সংগ্রহে নামছে নরেন্দ্র মোদীর দল। পূর্ব ভারতে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, সিকিম ও ত্রিপুরার দায়িত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দুষ্মন্ত গৌতম। রাজ্যে তাঁর সহকারী হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে।
লোকসভা নির্বাচনেই স্পষ্ট, বিজেপির জনভিত্তি নড়ে গিয়েছে। যার ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়েছে দল। এই অবস্থায় নতুন করে দলের জনভিত্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি সামনেই চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার উদ্দেশ্যে ওই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিজেপি। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের ওবিসি নেতা বিনোদ তাউড়ের উপর রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, দমন-দিউ ও দাদরা নগর-হাভেলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সদস্য সংগ্রহের প্রশ্নে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যসভা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে। তিনি দাবি করেন, ‘‘কত সংখ্যক সদস্য সংগ্রহ করতে হবে, এমন কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়নি। তবে গত বারের চেয়ে বেশি সংখ্যক সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।’’ শমীক ছাড়াও আজ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পল।
অনলাইন ছাড়াও প্রতিটি শহর ও গ্রামের ঘরে ঘরে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজেপি কর্মীদের। বিশেষ করে জোর দেওয়া হয়েছে তরুণদের দলের সঙ্গে জোড়ার প্রশ্নে। লোকসভায় ধাক্কা খাওয়ার পরে এখন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব সদস্য সংগ্রহ অভিযানের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোতে চাইছেন। পাশাপাশি সদস্য সংগ্রহ অভিযানের মাধ্যমে কেন্দ্রের জনমুখী প্রকল্পগুলির উপকার প্রান্তিক মানুষ পাচ্ছেন কি না, তাও বুঝে নিতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
গত জুন মাসে সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে মেয়াদ শেষ হয়েছে জেপি নড্ডার। আপাতত অস্থায়ী দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। সূত্রের মতে, নতুন সভাপতি বেছে নেওয়ার আগে প্রতিটি রাজ্যে সাংগঠনিক নির্বাচন করাতে হবে দলকে। আজকের বৈঠকে সেই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। সূত্রের মতে, উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ার আগেই নিচুতলায় সাংগঠনিক নির্বাচন শুরু করে দেওয়ার পক্ষপাতী কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পরিস্থিতি যা, তাতে নতুন সভাপতি নির্বাচন করতে বছর গড়িয়ে যাবে। এ দিকে সামনে চার রাজ্যে নির্বাচন। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে দলের একাংশ জেপি নড্ডার দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার জন্য কার্যকরী সভাপতি নিয়োগ করার পক্ষপাতী। সেই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের ওবিসি নেতা বিনোদ তাউড়ে। নাম রয়েছে উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যেরও। যদিও অন্য অংশের মতে, চার রাজ্যে নির্বাচনের আগে শীর্ষ নেতৃত্বে যে কোনও পরিবর্তন নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এতে দলের ফল খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তের দায়িত্ব সংসদীয় বোর্ডের উপরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy