আগামী রবিবার ‘মন কি বাত’-এর ১০০তম পর্ব। ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রেডিয়ো অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এর ১০০তম অনুষ্ঠানকে প্রচারের হাতিয়ার করতে ছাড়ছে না তাঁর সরকার তথা বিজেপি নেতৃত্ব। চলতি বছরে রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচন। আগামী বছরে লোকসভা ভোট। তার আগে বিনা প্রচারে ‘সূচ্যগ্র মেদিনী’ও ছেড়ে দেওয়া অবিবেচকের কাজ বলেই মনে করছেন দলীয় নেতৃত্ব। অন্য দিকে কংগ্রেসের বক্তব্য, চিন বা আদানির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে প্রধানমন্ত্রী ‘মৌন’ থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর জনসংযোগ বিভাগ ‘মন কি বাত’-এর প্রচারে কসুর করছে না।
‘মন কি বাত’-এর ৯৯তম পর্ব শেষ হয়েছে। আগামী রবিবার ১০০তম পর্ব। তার আগেই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকে দিনভর দিল্লিতে হচ্ছে একটি বিরাট সম্মেলন। সেখানে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সভাপতিত্বে বিজ্ঞান ভবনে চলবে ‘মন কি বাত’-এর ১০০তম উদ্যাপন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উদ্বোধনী বক্তৃতা দেবেন। প্রকাশিত হবে স্মারক স্ট্যাম্প এবং মুদ্রা। উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রিসভার কিছু সদস্য (তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, যোগাযোগমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব)। প্রধানমন্ত্রী রেডিয়োর মাধ্যমে যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তার থেকে চারটি ভাগে চলবে আলোচনা পর্ব। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বেরা ছাড়াও অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন আমির খান এবং রবিনা টন্ডন।
মোদীর ১০০তম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গেও যুক্ত হতে চাইছে বিজেপি। তার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ কৌশল। দলের মুসলমান মোর্চা ইতিমধ্যেই ৮৫টি মুসলিম প্রধান লোকসভা আসন চিহ্নিত করেছে। সেখানে বিরাট আয়োজন করে আগামী রবিবার ওই অনুষ্ঠানের সম্প্রচার করা হবে। মাদ্রাসা, দরগা, মুসলিম সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলিতেও সম্প্রচার পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের কথায়, “প্রধানমন্ত্রীর শক্তিশালী জনসংযোগের যন্ত্র অতিরিক্ত পরিশ্রম করছে ‘মন কি বাত’ প্রচারে। কিন্তু আদানি, চিন, ছোট ও মাঝারি শিল্পের দুর্দশার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে দেখা যাচ্ছে ‘মৌন কি বাত!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy