‘মধুশালায় গোশালা’ নিয়ে আসছেন উমা — ফাইল ছবি।
মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বাড়ছে। তা পুরোপুরি বন্ধ করার দাওয়াই বাতলে দিলেন বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী। তাঁর দাবি, মদের দোকান বন্ধ করে তাতে গোয়ালঘর তৈরি হোক। তা হলেই মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সংখ্যা কমে যাবে। কারণ মদ খেলেই মানুষ মহিলাদের উপর অত্যাচার করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, নিজের দাবির বাস্তবায়নে সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতেও রাজি নন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বেআইনি ভাবে তৈরি বলে দাবি করে একটি মদের দোকান বন্ধ করিয়ে তাতে গোশালা খোলার কর্মসূচিও নিয়েছেন উমা। তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘‘দেখি, কে আমায় আটকায়!’’
গত শনিবার সন্ধ্যায় উমা একটি মন্দিরে গিয়েছিলেন। অযোধ্যা নগরের সেই মন্দিরের কাছেই রয়েছে একটি মদের দোকান। উমা সেই মন্দিরে ঢুকেই ঘোষণা করে দেন, তিনি চার দিন ধরে মন্দিরেই থাকবেন। তার মধ্যে রাজ্য সরকারকে পরিবর্তিত আবগারি নীতি ঘোষণা করতে হবে। কিন্তু চার দিন পেরিয়ে গেলেও মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার নয়া আবগারি নীতি ঘোষণা করেনি। অগত্যা নিজেই আন্দোলনে নেমে পড়লেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
মঙ্গলবার, উমা সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, নিওয়ারি জেলার ওরছায় রাম রাজা সরকার মন্দিরের কাছে যে মদের দোকানটি রয়েছে তা বেআইনি। তাই ওই দোকান বন্ধ করিয়ে তাতে গোয়ালঘর খোলা হবে। কর্মসূচির নাম দেন, ‘মধুশালায় গোশালা’। তিনি বলেন, ‘‘আবগারি নীতির জন্য অপেক্ষা করছি না। আমিই মদের দোকান বন্ধ করিয়ে তাতে গোশালা খোলা শুরু করে দিচ্ছি। আমি দেখতে চাই, আমায় কে আটকায়! মদের দোকানে গরুগুলিকে জল আর খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’’
উমার দাবি, ওই দোকানে রাখার জন্য অনুগামীদের ১১টি গরু জোগাড় করতে বলেছেন তিনি। তাঁর খোঁচা, ‘‘ভগবান রামের নাম করে ভোটে জিতে মন্দিরের সামনে মদের দোকান রাখা চলবে না।’’ এই প্রসঙ্গেই একটি রিপোর্টকে উদ্ধৃত করেন বিজেপি নেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘রিপোর্ট বলছে মধ্যপ্রদেশের মহিলাদের উপর অত্যাচারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এর কারণ হল, এ ভাবে মদের দোকান গজিয়ে ওঠা।’’ এই প্রসঙ্গেই উমার গলায় উঠে আসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর রাজ্য গুজরাতের কথা। সেখানে মদ নিষিদ্ধ। উমা বলেন, ‘‘গুজরাতে মেয়েরা গিরের সিংহীদের মতো রাতেও অনায়াসে ঘুরে বেড়ান, মধ্যরাতে ভেলপুরি খান। এর একমাত্র কারণ গুজরাতে মদ নিষিদ্ধ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy